ছিন্দওয়ারা, 29 মে: মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা গণহত্যা ৷ বুধবার স্থানীয় আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার বোদাল কাছাড় গ্রামে এক আদিবাসী পরিবারের 8 জনকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পরিবারের প্রধান বা গৃহকর্তার বিরুদ্ধে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর খুনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে মহুলঝির পুলিশ ও ছিন্দওয়াড়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন অধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। সংগ্রহ করা হচ্ছে নমুনা ৷ অতিরিক্ত পলিশ সুপার অবধেশ সিং ইটিভি ভারতকে জানান, পরিবারের কর্তা কুড়ুল দিয়ে 8 জনকে হত্যা করার পর আত্মহত্যা করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে।
তবে কী কারণে খুন, তা এখনও জানা যায়নি ৷ এদিন একই পরিবারের 8 জনের খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷ গ্রামবাসীদের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ৷ হত্যাকাণ্ডের বীভৎসতা দেখেও বিস্ময় প্রকাশ করছেন সকলে ৷ মা, বাবা ও সন্তান সকলকেই পরিবারের কর্তা খুন করেছেন বলে অনুমান গ্রামবাসীদের ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি প্রথমে তাঁর স্ত্রীকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ৷ এরপর একে একে মা (55), ভাই (35), বোন (16) ও ভগ্নিপতি (30) এবং পাঁচ বছরের ভাইপো ও সাড়ে চার বছরের দুই ভাইঝিকেও হত্যা করে ৷ তবে কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন অভিযুক্তের (মৃত) খুড়তুতো ভাই ৷ তিনি গ্রামবাসীদের জানান, তাঁর খুড়তুতো দাদা মাঝরাতে পরিবারের সকলকে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করেছে ৷ সে কোনওরকমে পালাতে সক্ষম হয়েছে ৷ গ্রামবাসীরাই পুলিশে খবর দেয় বলে জানিয়েছে সে ৷
আরও পড়ুন: পানশালায় ঢুকে গুলি করে খুন ডিজেকে, প্রকাশ্যে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ
পুলিশ সুপার মনীশ খাত্রী বলেছেন, "অভিযুক্তের গত 21 মে বিয়ে হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওই ব্যক্তি মানসিক অবসাদগ্রস্থ হতে পারেন ৷ অবসাদ থেকেই এই নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটিয়েছেন ৷ তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ ওই ব্যক্তি সত্যই মানসিকভাবে অবসাদ গ্রস্থ ছিলেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ এই খুনে অন্য কোনও কারণ ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: বান্ধবীর স্বামীকে খুন, জ্যোতিষীর অফিসের নীচ থেকে মিলল দেহ