নয়াদিল্লি, 2 মে: সিবিআই কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নয় ৷ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সাফ জানাল কেন্দ্র ৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছে ৷ সেই মামলার শুনানিতে এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অবস্থান স্পষ্ট করে বিজেপি সরকার ৷
সংবিধানের 131 ধারার আওতায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার শীর্ষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে ৷ তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলার তৃণমূল সরকার রাজ্যে সিবিআই তদন্তে অনুমোদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে ৷ এরপরও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি পশ্চিমবঙ্গে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ৷ এফআইআর-ও করছে সিবিআই ৷
বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয় ৷ কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিন বেঞ্চকে জানান, সংবিধানের 131 ধারার অপব্যবহার করা যাবে না ৷ তিনি বলেন, "ভারত সরকার কোনও মামলা দায়ের করেনি ৷ সিবিআই করেছে ৷ সিবিআই ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন নয় ৷" 2018 সালের 16 নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যে সিবিআই তদন্তের অনুমোদনে সম্মতি প্রত্যাহার করে নেয় ৷ যাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজ্যের কোথাও কোনও তদন্ত না করতে পারে ৷
ইতিমধ্যে রাজ্যে সন্দেশখালি কাণ্ড-সহ একাধিক মামলার তদন্ত করছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই ৷ গত 26 এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার ৷ শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহেতা ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয় ৷ সন্দেশখালি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলে হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত ৷ অন্যদিকে, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে সম্প্রতি 2016 সালের প্রায় 26 হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারিয়েছে ৷ এই মামলাতেও সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
আরও পড়ুন: