নয়াদিল্লি, 13 মে: দ্বাদশ শ্রেণির পর এ বার দশম শ্রেণির পরীক্ষারও ফলপ্রকাশ করল সিবিএসই ৷ দ্বাদশের মতোই দশমেও ছেলেদের টেক্কা দিয়েছে মেয়েরা ৷ এ বছর সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশের হার 93.60 শতাংশ ৷
সোমবার চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনের দিনই দেশজুড়ে প্রকাশিত হয় সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল ৷ প্রথম দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশের কিছু সময় পরই এ বছরের দশম শ্রেণির পরীক্ষা ফল প্রকাশ করে সিবিএসই ৷ সিবিএসই-র এক আধিকারিক ঘোষণা করেছেন যে, এ বার দশম শ্রেণির পরীক্ষায় মেয়েরা 2.04 শতাংশ পয়েন্টে ছেলেদের থেকে এগিয়ে রয়েছে ৷ সিবিএসই দশমে মোট 94.75 শতাংশ ছাত্রী পাশ করেছে ৷ 95 শতাংশের উপরে নম্বর পেয়েছে 47,000-এর বেশি পরীক্ষার্থী ৷ আর 2.12 লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থীর নম্বর 90 শতাংশের উপরে ৷
সিবিএসই ঘোষণা করেছে যে 'অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা এড়াতে' কোনও মেধাতালিকা থাকবে না । আধিকারিকরা বলেন যে, বোর্ড পরীক্ষার্থীদের স্কোরের ভিত্তিতে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিভাগের পুরস্কার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । সিবিএসই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সানিয়ান ভরদ্বাজ বলেন, "ছাত্রদের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা এড়াতে বোর্ডের পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুসারে সিবিএসই মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি । তবে, যারা বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে, সেই পরীক্ষার্থীদের মেধা শংসাপত্র দেবে বোর্ড ৷"
সিবিএসই দশমে এ বছর প্রায় 1.32 লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী কম্পার্টমেন্টাল পেয়েছে ৷ এই সংখ্যাটা গত বছরের তুলনায় সামান্য কম ৷
প্রসঙ্গত, সোমবার দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফলপ্রকাশের আগেই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে সিবিএসই ৷ এ দিন ফল ঘোষণা করে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এ বছর দ্বাদশ শ্রেণিতে পাশের হার 87.98 শতাংশ ৷ পাশের হার বেড়েছে 0.65 শতাংশ ৷ গত বছর মোট পাশের হার ছিল 87.33 শতাংশ । এ বছর 91.52 শতাংশ ছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৷ ছেলেদের পাশের শতাংশের তুলনায় 6.40 শতাংশ পয়েন্ট বেশি পাশ করেছে মেয়েরা । দ্বাদশ শ্রেণিতে মোট 24,068 জন ছাত্র 95 শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে এবং 1,16,145 জন ছাত্র 90 শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ৷"
সিবিএসই ঘোষণা করেছে যে, 2024-25 শিক্ষাবর্ষের জন্য দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা 15 ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ৷ 2024 সালের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষাগুলিও 15 ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল ৷ এই পরীক্ষা দুটি যথাক্রমে 28 এবং 47 দিনে শেষ হয় ৷
(পিটিআই)
আরও পড়ুন: