নয়াদিল্লি, 22 ফেব্রুয়ারি: পুলওয়ামা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে দফায় দফায় প্রশ্ন তুলেছিলেন । এবার জম্মু-কাশ্মীরের সেই প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি ৷ বৃহস্পতিবার প্রাক্তন রাজ্যপালের বাড়ি-সহ 29টি অন্যান্য জায়গায় তল্লাশি চালান আধিকারিকরা ৷ 2 হাজার 200 কোটি টাকার কিরু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে এই তল্লাশি বলে জানিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷
এদিন সকাল থেকেই দিল্লি এবং মুম্বই ছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীর, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং রাজস্থানের একাধিক শহরে 30টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে সিবিআই ৷ প্রায় 100 জন অফিসার এই কাজে নিযুক্ত রয়েছেন ৷ সিবিআই সূত্রে খবর, গুরুগ্রাম এবং বাগপত ছাড়াও আরকে পুরম, দ্বারকা এবং দিল্লির এশিয়ান গেমস ভিলেজে সত্যপাল মালিকের সঙ্গে যুক্ত জায়গাগুলি তল্লাশি করা হয়েছে । মালিকের সহযোগী, চেনাব ভ্যালি পাওয়ার প্রোজেক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নবীন কুমার চৌধুরী এবং প্যাটেল ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের আধিকারিকদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে ।
বিষয়টি নিয়ে সত্যপাল মালিক সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "আমি গত 3-4 দিন ধরে অসুস্থ এবং হাসপাতালে ভর্তি আছি । তা সত্ত্বেও সরকারি সংস্থা আমার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে । আমার চালক ও সহকারীকেও অকারণে হয়রানি করানো হচ্ছে । আমি কৃষকের ছেলে, এসব অভিযানে ভয় পাব না । আমি কৃষকদের সঙ্গে আছি ৷"
প্রাক্তন রাজ্যপালের বাড়িতে তল্লাশির কারণ হিসেবে সিবিআই জানিয়েছে, 2200 কোটি টাকার কিরু হাইড্রো ইলেকট্রিক পাওয়ার প্রোজেক্ট (এইচইপি) সম্পর্কিত একটি সিভিল-ওয়ার্ক চুক্তি প্রদানে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সত্যপালের বিরুদ্ধে ৷ তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করতেই এই তল্লাশি ৷
23 আগস্ট, 2018 থেকে 30 অক্টোবর, 2019 পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর পদে আসীন ছিলেন সত্যপাল মালিক ৷ তখন তিনি দাবি করেছিলেন যে, প্রকল্প সংক্রান্ত একটি ফাইল-সহ দুটি ফাইল সাফ করার জন্য তাকে 300 কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল । এই সিবিআই আগেই জানিয়েছিল, 2019 সালে একটি বেসরকারি সংস্থাকে কিরু হাইড্রো ইলেকট্রিক পাওয়ার প্রোজেক্টের (এইচইপি) সিভিল ওয়ার্কসের প্রায় 2200 কোটি টাকার চুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে অসৎ আচরণের অভিযোগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয় ৷
আরও পড়ুন :