পটনা, 17 মে: চার বছরের নিখোঁজ ছাত্রের দেহ মিলল স্কুলের নর্দমা থেকে ৷ পটনার দিঘা থানা এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ শিশুটির মৃত্যুর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বিক্ষোভে সামিল হন অভিভাবক ও স্থানীয়রা ৷ রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ ৷
নিখোঁজ শিশুর দেহ উদ্ধার: শিশুটি বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে গিয়েছিল ৷ তবে ছুটির পর সে আর বাড়ি ফেরেনি ৷ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় তার খোঁজ শুরু করে তার পরিবার ৷ স্থানীয় থানায়ও নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় ৷ স্থানীয় থানার পুলিশও শিশুটির খোঁজ করে তাকে কোথাও খুঁজে পায়নি ৷ এরপর পরিবারের সদস্যরা ছেলেকে কোথাও না পেয়ে আবারও স্কুলে গিয়ে চড়াও হন ৷ এর পরে গভীর রাতে স্কুলের নর্দমা থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয় ।
ক্ষোভে স্কুলে আগুন: কয়েক ঘণ্টা ধরে খোঁজখবরের পর স্কুলের নর্দমা থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পরে তার পরিবার ৷ স্কুলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে স্কুলে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা ৷
স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ: স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই পরিবারকে বলেছিল যে শিশু তার বাড়িতে চলে গিয়েছে । অথচ পরিবারের সদস্যরা জানান, শিশুটির খোঁজে তাঁরা স্কুলের আশপাশে তল্লাশি চালানোর সময় স্কুল চত্বরের একটি কক্ষের কাছে পৌঁছে যান । তার পাশেই একটি নর্দমা ছিল ৷ সেটি খুলে নর্দমার ভেতর থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির মৃতদেহ ৷ ফলে স্কুলের বিরুদ্ধে শিশুদের প্রতি গাফিলতির অভিযোগ এনেছে পরিবার ৷
তদন্তে পুলিশ: শিশুটির দেহ উদ্ধারের পর আজ সকাল থেকে এই নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন তার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন ৷ ক্ষোভে তাঁরা টায়ারে আগুন ধরিয়ে পথ অবরোধ করেন । ওই ছাত্রকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে । স্থানীয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷
সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে দিঘা থানার প্রধান ব্রজেশ কুমার সিং বলেন যে, "নিরীহ শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে । দেহ হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হচ্ছে এবং স্থানীয় লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন: