পুনে, 30 মে: পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত নাবালকের রক্তের নমুনা বদলের পিছনে রয়েছেন আরও চারজন ব্যক্তি ৷ তদন্তে পুলিশের হাতে উঠে এল এই নয়া তথ্য ৷ তবে ওই চারজন কারা, তা এখনও জানা যায়নি ৷ সে বিষয়ে জানার জন্য পুলিশ আরও বিস্তারিত তদন্ত করছে।
পুনের কল্যাণীনগর এলাকায় পোর্শে গাড়ি দিয়ে দু'জনকে পিষে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল ৷ মাত্র তিন দিন আগে এই ঘটনায় নাবালককে বাঁচাতে সসুন হাসপাতালের চিকিৎসক তার রক্তের নমুনা পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। চিকিৎসক অজয় টাওয়ার, চিকিৎসক শ্রীহরি হালনর এবং সাসুন হাসপাতালের অতুল ঘটকম্বলেকে পুলিশ অভিযুক্তের রক্তের নমুনা বিকৃত করার দায়ে গ্রেফতার করেছিল। বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল । এরই মাঝে নাবালক অভিযুক্তের রক্তের নমুনা চারজন মিলে পরিবর্তন করেছিল বলে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে । কারা এই চারজন? সেই প্রশ্নই উঠছে এখন।
জানা গিয়েছে, গাড়ি দুর্ঘটনার নয় ঘণ্টা পর নাবালকের রক্ত পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৷ তার রক্ত পরীক্ষা করার জন্য সাসুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ দুর্ঘটনার সময় অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিল কি না, তা জানার জন্যই পুলিশ সাসুন হাসপাতালে নাবালকের রক্ত পরীক্ষা করে । কিন্তু নাবালককে বাঁচাতে সাসুন হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা তার রক্তের নমুনা বদল করে দেন বলে অভিযোগ ৷ নাবালকের সঙ্গে অন্য একজনের রক্তের নমুনা পালটে দেওয়া হয় যিনি মদ্যপান করেননি ৷
সূত্রের খবর, সাসুন হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ওই নাবালকের রক্তের নমুনা নিয়েছিলেন । কিছুক্ষণ পর কয়েকজন ব্যক্তি ওই স্থানে আসেন । তারা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে রক্তের নমুনা পরিবর্তন করতে বাধ্য করেন । শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিরা তাদের সঙ্গে আনা রক্তের নমুনা নাবালকের সঙ্গে পালটে দিয়েছিলেন । কার অনুরোধে ওই চারজন হাসপাতালে এসেছিলেন? কেন তারা হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করলেন? এমন নানা প্রশ্নও উঠছে ।