সিমলা, 14 ডিসেম্বর: শিঙাড়ার পর এবার বনমোরগ ! ফের বিতর্কের কেন্দ্রে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু ৷ হিমাচলের এক প্রত্যন্ত গ্রামে নৈশভোজের সময় মুখ্যমন্ত্রীর পাতে বনমোরগ দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি ৷ বন্যপ্রাণ আইনে এই বনমোরগ শিকার করা নিষিদ্ধ ৷ এমন ঘটনা নিয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি শিবির ৷
নিষিদ্ধ বনমোরগ খাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু ৷ তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যের কারণে তিনি তৈলাক্ত এবং আমিষ খাবার খাননা ৷ শনিবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, "যা ঘটেইনি, সে বিষয়ে আমি কী বলব ? ওটা বনমোরগ ছিল না ৷ ওদের আদিবাসী সংস্কৃতি ৷ আমি বলেছি, আমি আমিষ খাবার খাই না ৷ তখন ওরা বলেছিল যে এটা দোকান থেকে কেনা মুরগি নয়, দিশি মুরগি ৷ আমরা ওখানে খেতে যাইনি ৷ মানুষের সমস্যার কথা শুনতে গিয়েছিলাম ৷ বিজেপির কাছে কোনও ইস্যু নেই ৷ তাই এধরনের অদ্ভুত ইস্যু উত্থাপন করছে ৷"
जनता के घर द्वार जाकर लोगों की समस्याओं के निराकरण करने की हमारी योजना ‘जनमंच’ के फुलके जिन्हे खल रहे थे वह आज गाँव गाँव जा कर पिकनिक मना रहे हैं और क्या कर रहे है जनता सब देख रही है 🧐
— Jairam Thakur (@jairamthakurbjp) December 14, 2024
संरक्षित प्रजाति के जंगली मुर्गा खाने वालों को जेल होती है, जुर्माना होता है लेकिन… pic.twitter.com/NjtN0iDjXN
সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সরকার 'জনতার দ্বারে সরকার' শীর্ষক একটি কর্মসূচি শুরু করেছে ৷ এই কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং সরকারের উচ্চস্তরীয় আধিকারিকরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের সমস্যার কথা শুনবেন ৷
এই কর্মসূচিতেই শুক্রবার, 13 ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু সিমলা জেলার প্রত্যন্ত কুপবী এলাকায় পৌঁছন ৷ সেখানে টিকরী নামক গ্রামে রাত্রিবাস করেন ৷ তাঁর আগে রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী কুপবীতে রাত্রিবাস করেননি ৷ কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী সুখুই প্রথম ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধনীরাম শান্ডিল এবং কংগ্রেসের স্থানীয় কয়েকজন নেতা ৷
“कुक्कड़ू कूं” का व्यवस्था पतन।
— sudhir sharma (@sudhirhp) December 14, 2024
जंगल राज में “Wild Life Act” नहीं लगता। pic.twitter.com/0QxHifnVEc
এই ঠান্ডায় তাঁরা সবাই রাতে আগুন পোহাচ্ছেন এমন ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ৷ তখনই মুখ্যমন্ত্রী গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন বলে জানা গিয়েছে ৷ এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল ৷ বিজেপির আপত্তি মুখ্যমন্ত্রীর নৈশভোজের মেনুতে ৷
मुख्यमंत्री जी माफी मांगें!
— Chetan Bragta (@chetanbragta) December 14, 2024
सरकारी कार्यक्रम में 'जंगली मुर्गा' जैसे संरक्षित पक्षी का परोसा जाना वन्यजीव संरक्षण कानूनों का सीधा उल्लंघन है। यह देवभूमि हिमाचल की परंपराओं और पर्यावरण के प्रति हमारी संवेदनशीलता का अपमान है। कांग्रेस सरकार की इस लापरवाही पर तुरंत कार्रवाई होनी… pic.twitter.com/HeYIG10vK1
গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাতের খাবারে তাঁকে বনমোরগ রেঁধে খেতে দেওয়া হয়েছিল ৷ এই ধরনের মোরগ মেরে ফেলা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ ৷ হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধনীরাম শান্ডিল নৈশভোজ করছেন ৷ বিজেপি নেতার দাবি, তাঁদের পাতে বনমোরগের মাংস পরিবেশন করা হচ্ছে ৷ এদিকে মুখ্যমন্ত্রী সুখু এবং বাকিরা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ৷
स्वास्थ्य कारणों से मैं तेलयुक्त व्यंजन और नॉनवेज दोनों से परहेज़ करता हूँ। लेकिन जयराम जी को कोई मुद्दा नहीं मिला तो उन्होंने हमारे ग्रामवासियों को बदनाम करने का रास्ता चुन लिया।
— Sukhvinder Singh Sukhu (@SukhuSukhvinder) December 14, 2024
विपक्ष के नेताओं के पास अब कोई मुद्दा नहीं है, बस ग्रामवासियों की छवि खराब करने का काम करते हैं। pic.twitter.com/gZaY9fU7se
শনিবার টিকরী গ্রাম থেকে ফিরে আসেন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু ৷ এদিন তিনি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন, "স্বাস্থ্যের কারণে আমি তেল এবং আমিষ খাবার এড়িয়ে চলি ৷ জয়রাম ঠাকুরের কাছে এই মুহূর্তে আর কোনও ইস্যু নেই ৷ তাই তিনি আমাদের গ্রামবাসীদের অসম্মান করার পথ বেছে নিয়েছেন ৷ তারা গ্রামবাসীদের কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন ৷"
এর আগে শিঙাড়া নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সুখু ৷ একটি অনুষ্ঠানে তাঁর জন্য আনা শিঙাড়া পাননি মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই শিঙাড়ার কী হল, তার জন্য সিআইডি তদন্তে নেমেছিল ৷