আমেদাবাদ, 24 ফেব্রুয়ারি: 2002 সালের ঘটনা আজও ভুলতে পারেননি বিলকিস বানো। চোখের সামনে পরিবারের সদস্যদের খুন হতে দেখেছিলেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গণধর্ষণ করা হয়েছিল তাঁকে। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি তাঁর তিন বছরের মেয়েও। 2002 সালে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের দিনে 11 অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাতের বিজেপি সরকার ৷ এখনও সেই ঘটনার দোষীরা সাজা পায়নি ৷ এরইমাঝে একাধিক বার ঘটনার মোড় ঘুরেছে ৷ এবার ভাগ্নের বিয়ের কারণে এই মামলার অন্যতম দোষী রমেশ চন্দনাকে প্যারোলে মুক্তির অনুমতি দিল গুজরাত হাইকোর্ট ৷
রমেশের ভাগ্নের বিয়ে আগামী 5 মার্চ ৷ সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য 10 দিনের প্যারোল মঞ্জুর করেছে গুজরাত হাইকোর্ট ৷ শুক্রবার বিলকিস বানো মামলার দ্বিতীয় দোষী রমেশ চন্দনাকে তার ভাগ্নের বিয়েতে যাওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্ট ৷ রমেশ চন্দনা গত সপ্তাহে তার বোনের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কারণে প্যারোলের ছুটির জন্য হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় ৷ এই আবেদনে যে কারণগুলি বলা হয়েছে তা বিবেচনা করে আবেদনকারী তথা দোষীকে প্যারোলে ছুটিতে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ শুক্রবার বিচারপতি দিব্যেশ জোশী 10 দিনের জন্য রমেশ চন্দনাকে প্যারোলে মুক্তি মঞ্জুর করেছেন ৷
এর আগে গত 8 জানুয়ারি বিলকিস বানো মামলায় 11 জন দোষীসাব্যস্তর মুক্তির সিদ্ধান্ত খারিজ করে সর্বোচ্চ আদালত। 2022-এ এই 11জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। ছাড়া পেয়ে যায় দোষীরা। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান বিলকিস বানো। এদিন গুজরাত সরকারের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। ওই রায়ের পর দু'সপ্তাহের মধ্যে দোষীদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত 11 জনকে ফিরতে হয় জেলে।
সেদিন শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, গুজরাত সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনত এক্তিয়ার ছিল না। এটা সম্পূর্ণ বেনিয়ম। গুজরাত সরকারের উচিত ছিল 2002 সালের আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করা।
আরও পড়ুন: