ভুবনেশ্বর, 20 সেপ্টেম্বর: প্রথমে বেআইনিভাবে গ্রেফতার ৷ পরে থানার মধ্যেই যৌন হেনস্থা ৷ ভরতপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ করলেন এক সেনা জওয়ানের বান্ধবী ৷ এবার সেই ঘটনায় সিট গঠন করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানালেন ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়ক ৷
The National Commission for Women takes suo motu cognisance of allegations made by an Army officer and his lady friend regarding their custodial abuse by Odisha Police. A formal letter has been sent to the DGP, requesting an action taken report within 3 days. Urgent disciplinary…
— NCW (@NCWIndia) September 17, 2024
শুক্রবার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, "কয়েকদিন আগে একটি পুলিশ স্টেশনে একজন সেনা আধিকারিক এবং তাঁর বাগদত্তার সঙ্গে যা ঘটেছে তা সকলেই শুনেছেন । ঘটনাটি মর্মান্তিক ৷ আমরা এই বিষয়ে পূর্ণ বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি ৷ দ্রুততার সঙ্গে এই ঘটনার দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ৷"
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাতকারে ভয়াবহ সেই ঘটনার বর্ণনা করেন সেনা জওয়ানের বান্ধবী ৷ ঘটনাটি ওড়িশার ভরতপুর থানা এলাকার ঘটনা ৷ ইতিমধ্যেই, অভিযুক্ত 5 পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে ৷ ঘটনার সূত্রপাত গত 15 সেপ্টেম্বর, শনিবার ৷ সংবাদ সংস্থাকে মহিলা জানান, সেদিন রাতে নিজের রেস্তোরাঁ বন্ধ করে সেনা জওয়ান বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন ৷ সেই সময় রাস্তায় কয়েকজন ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেন ৷ ঘটনার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েই সমস্ত সমস্যার সূত্রপাত বলে অভিযোগ ওই মহিলার ৷
#WATCH | Odisha: An Indian Army Officer and his fiancée were allegedly assaulted at Bharatpur Police Station in Bhubaneswar.
— ANI (@ANI) September 20, 2024
His fiancée, alleges " when we went to bharatpur police station to file a complaint, the entire police station was empty. only one lady was sitting at the… pic.twitter.com/Iz74TK1wWG
এই মুহূর্তে ভুবনেশ্বর এইমসে চিকিৎসাধীন ওই মহিলা ৷ তাঁর অভিযোগ, সেদিন রাতে সাধারণ পোশাকে বসে ছিলেন দুই মহিলা কনস্টেবল ৷ তাঁদের কাছে সাহায্য চাওয়া হলে, তাঁরা কুরুচিকর মন্তব্য করতে শুরু করেন ৷ এখানেই শেষ নয় ৷ এরপর আরও কয়েকজন পুলিশকর্মী এসে তাঁর বন্ধুকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেন ৷ মহিলার কথায়, "আমি কিছুর বোঝার আগেই লকআপে নিয়ে যাওয়া আমার বন্ধুকে ৷ আমি ঘটনার প্রতিবাদ করতেই দুই মহিলা কনস্টেবল আমাকে মারধর করতে শুরু করেন ৷"
নিজেকে বাঁচাতে এক কনস্টেবলের হাতে কামর বসান অভিযোগকারি ওই মহিলা ৷ এরপর তাঁকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে হাত ও পা বেঁধে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ ৷ মহিলার অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরে এক পুরুষ পলিশকর্মী এসে তাঁর উপর যৌন হেনস্থা চালান ৷ এরইমধ্যে তিনি বুঝতে পারেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তাঁকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ এদিক ঘটনায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে রাজ্য পুলিশের ডিজিপির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন ৷ এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে একটি পোস্টও করা হয়েছে কমিশনের তরফে ৷ অন্যদিকে, চন্দকা পুলিশ স্টেশনে শনিবার রাতে অভিযোগকারী মহিলা ও তাঁর বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় হওয়া ঘটনার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷