ETV Bharat / bharat

সন্দেহের বশে স্ত্রীকে হত্যা করে দেহ 14 টুকরো, দেহাংশ জ্বালিয়ে দিল স্বামী - Man brutally kills wife

Bhopal man brutally kills his wife: সন্দেহের বশে স্ত্রীকে হত্যা করে তাঁর দেহ 14 টুকরো করে ফেলল এক যুবক ৷ এরপর সে কিছু দেহাংশ জ্বালিয়ে দেয়, ও কিছু দেহাংশ কবর দিয়ে দেয় ৷

ETV BHARAT
স্ত্রীকে নৃশংস হত্যা (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 2, 2024, 10:17 AM IST

Updated : Jun 2, 2024, 11:26 AM IST

ভোপাল, 2 জুন: সন্দেহের বশে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, ওই যুবক তার স্ত্রীকে হত্যা করার পর তাঁর দেহ কেটে 14 টুকরো করে ৷ এরপর সে কিছু টুকরো আগুনে পুড়িয়ে দেয় এবং কিছু দেহাংশ কবর দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ৷ পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছ ৷

মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে ঘটেছে এই হাড়হিম করা ঘটনা ৷ সানিয়া খান নামে ওই বধূ আচমকা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় তাঁর বোন নিশাতপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ৷ এরপরই পুলিশ তল্লাশি শুরু করে ৷ তবে সেই সময় পুলিশি তৎপরতা দেখে গা ঢাকা দিয়েছিল মৃতার স্বামী ৷ তখনই তার উপর সন্দেহ গিয়ে পড়ে পুলিশের ৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই ব্যক্তিকে পাওয়া গেলে তাকে আটক করে পুলিশ ৷ এরপর পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে ওই যুবক ৷ পুলিশের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের সামনে সে অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয় । তার কাছ থেকে বিশদ তথ্য জানার পর পুলিশ মৃতার দেহাংশ উদ্ধার করে ৷

ভোপালের গ্রামীণ এলাকার এসডিওপি মঞ্জু চৌহান জানিয়েছেন, সানিয়া খান এই থানা এলাকার মধ্যেই তাঁর বোনের বাড়িতে থাকতেন ৷ 21 মে সানিয়ার নিখোঁজ হওয়ার কথা পুলিশকে জানান তাঁর বোন ৷ সানিয়া নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তাঁর স্বামী নাদিমুদ্দিন ওরফে মুন্নাও নিখোঁজ ছিল । নাদিম নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশের সন্দেহ হয় তাকে । পুলিশ তাকে খুঁজে বের করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৷ প্রথমে মুন্না পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও পুলিশি জেরার মুখে সে ভেঙে পড়ে । গত শনিবার অর্থাৎ 25 মে স্ত্রী সানিয়া খানকে হত্যার কথা স্বীকার করে মুন্না । সে জানায়, স্ত্রীর দেহ কেটে 14 টুকরো করে কিছুটা সে পুড়িয়ে ফেলে এবং কিছুটা কবর দিয়ে দেয় ৷ ইটখেদি থানা এলাকা থেকে সানিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ।

গোটা ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পারেওয়াখেদাতে দিদার বাড়িতে থাকতেন সানিয়া । সেখানে বসবাসকারী নাদিমের সঙ্গে 2020 সালে তাঁর বিয়ে হয় । নাদিম অটোচালকের কাজ করে এবং বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র নিয়েছিল । এর পরও বিয়ের মাত্র 5 দিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে বাইক দাবি করতে থাকে নাদিম । এরপর সন্দেহের বশে সানিয়াকে বেশ কয়েকবার মারধরও করেছে নাদিম । এত কিছুর পর নাদিম সানিয়াকে তার সঙ্গে দেখা করতে ডেকে পুরো ঘটনাটি ঘটায় ।

ভোপালের গ্রামীণ এলাকার এসডিওপি মঞ্জু চৌহান বলেন, "চরিত্র নিয়ে সন্দেহের কারণে ওই নারীকে তাঁর স্বামী খুন করেছে । এরপর দেহ কেটে একটি অটোতে করে নিয়ে গিয়ে তা পুড়িয়ে ফেলা হয় । শরীরের কিছু অংশ কবরও দেওয়া হয় ৷ অভিযুক্তের দেওয়ার তথ্যের পর খন্তি থেকে মহিলার মাথার খুলি, পা ও পাঁজরের 14টি ছোট টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ নাদিমের এমন নিষ্ঠুরতা দেখে হতবাক প্রতিবেশীরা ৷

ভোপাল, 2 জুন: সন্দেহের বশে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, ওই যুবক তার স্ত্রীকে হত্যা করার পর তাঁর দেহ কেটে 14 টুকরো করে ৷ এরপর সে কিছু টুকরো আগুনে পুড়িয়ে দেয় এবং কিছু দেহাংশ কবর দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ৷ পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছ ৷

মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে ঘটেছে এই হাড়হিম করা ঘটনা ৷ সানিয়া খান নামে ওই বধূ আচমকা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় তাঁর বোন নিশাতপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ৷ এরপরই পুলিশ তল্লাশি শুরু করে ৷ তবে সেই সময় পুলিশি তৎপরতা দেখে গা ঢাকা দিয়েছিল মৃতার স্বামী ৷ তখনই তার উপর সন্দেহ গিয়ে পড়ে পুলিশের ৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই ব্যক্তিকে পাওয়া গেলে তাকে আটক করে পুলিশ ৷ এরপর পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে ওই যুবক ৷ পুলিশের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের সামনে সে অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয় । তার কাছ থেকে বিশদ তথ্য জানার পর পুলিশ মৃতার দেহাংশ উদ্ধার করে ৷

ভোপালের গ্রামীণ এলাকার এসডিওপি মঞ্জু চৌহান জানিয়েছেন, সানিয়া খান এই থানা এলাকার মধ্যেই তাঁর বোনের বাড়িতে থাকতেন ৷ 21 মে সানিয়ার নিখোঁজ হওয়ার কথা পুলিশকে জানান তাঁর বোন ৷ সানিয়া নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তাঁর স্বামী নাদিমুদ্দিন ওরফে মুন্নাও নিখোঁজ ছিল । নাদিম নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশের সন্দেহ হয় তাকে । পুলিশ তাকে খুঁজে বের করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৷ প্রথমে মুন্না পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও পুলিশি জেরার মুখে সে ভেঙে পড়ে । গত শনিবার অর্থাৎ 25 মে স্ত্রী সানিয়া খানকে হত্যার কথা স্বীকার করে মুন্না । সে জানায়, স্ত্রীর দেহ কেটে 14 টুকরো করে কিছুটা সে পুড়িয়ে ফেলে এবং কিছুটা কবর দিয়ে দেয় ৷ ইটখেদি থানা এলাকা থেকে সানিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ।

গোটা ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পারেওয়াখেদাতে দিদার বাড়িতে থাকতেন সানিয়া । সেখানে বসবাসকারী নাদিমের সঙ্গে 2020 সালে তাঁর বিয়ে হয় । নাদিম অটোচালকের কাজ করে এবং বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র নিয়েছিল । এর পরও বিয়ের মাত্র 5 দিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে বাইক দাবি করতে থাকে নাদিম । এরপর সন্দেহের বশে সানিয়াকে বেশ কয়েকবার মারধরও করেছে নাদিম । এত কিছুর পর নাদিম সানিয়াকে তার সঙ্গে দেখা করতে ডেকে পুরো ঘটনাটি ঘটায় ।

ভোপালের গ্রামীণ এলাকার এসডিওপি মঞ্জু চৌহান বলেন, "চরিত্র নিয়ে সন্দেহের কারণে ওই নারীকে তাঁর স্বামী খুন করেছে । এরপর দেহ কেটে একটি অটোতে করে নিয়ে গিয়ে তা পুড়িয়ে ফেলা হয় । শরীরের কিছু অংশ কবরও দেওয়া হয় ৷ অভিযুক্তের দেওয়ার তথ্যের পর খন্তি থেকে মহিলার মাথার খুলি, পা ও পাঁজরের 14টি ছোট টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ নাদিমের এমন নিষ্ঠুরতা দেখে হতবাক প্রতিবেশীরা ৷

Last Updated : Jun 2, 2024, 11:26 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.