চেন্নাই, 13 নভেম্বর: কর্তব্যরত অবস্থায় ফের চিকিৎসকের উপর হামলা ৷ এবার হাসপাতালের মধ্যেই সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারকে পরপর সাতবার কোপানো হল ৷ তাঁর মুখে, বুকে এবং পেটে আঘাত লেগেছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসক ক্যানসার আক্রান্ত এক রোগীর চিকিৎসা করতেন ৷ তিনি ওই রোগীকে ভুল ওষুধ দেন বলে অভিযোগ। তার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি ৷ এমনটাই দাবি রোগীর ছেলের ৷ এরপরই রোগীর ছেলে হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎসককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন ! ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে ওই চিকিৎসকের অবস্থা গুরুতর ৷ চলছে চিকিৎসা ৷ এই প্রবীণ অঙ্কোলজিস্টের নাম বালাজি । তিনি চেন্নাইয়ের একটি সরকারি মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতালে কর্মরত। বুধবার সকাল সাড়ে 10টা নাগাদ তিনি আক্রান্ত হন।
খুনের চেষ্টার পরেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিগ্নেশ্বরন নামে ওই অভিযুক্ত। তখনই হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটকান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বছর পঁচিশের বিগ্নেশ্বরনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, 6 মাস ধরে ওই হাসপাতালেই সে তাঁর মা থিরুমা সুব্রামাণিয়নকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসত ৷
হামলার পর হাসপাতালে পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৷ তিনি জানান, থিরুমা সুব্রামাণিয়ন প্রেমার অবস্থার অবনতি হয়েছে। বিগ্নেশ্বরন হাসপাতালে আসা যাওয়া করত বলে সবই চিনত। সেই কারণে, ডাক্তারের ঘরে প্রবেশ করা এবং তাঁর উপর হামলা চালানো সহজ হয় বিগ্নেশ্বরনের পক্ষে ৷
এদিকে, এই ঘটনার জেরে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ আরও বাড়ল ৷ মাত্র কয়েকদিন আগেই কলকাতায় আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক তরুণী চিকিৎকসককে । তারপর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকরা। এবার চেন্নাইয়ের ঘটনাও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল।