গুয়াহাটি, 15 সেপ্টেম্বর: পরীক্ষা সুষ্ঠু এবং নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে অভিনব পদক্ষেপ অসম সরকারের ৷ রবিবার ছিল রাজ্যের একটি নিয়োগ পরীক্ষা ৷ যার জেরে সকাল 10 টা থেকে শুরু সাড়ে তিন ঘন্টার জন্য রাজ্য জুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ওয়াই-ফাই পরিষেবা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ অসম নিয়োগ পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্যই এই পদক্ষেপ বলেই জানা গিয়েছে।
‼️📢 #IMPORTANTANNOUNCEMENT
— Chief Minister Assam (@CMOfficeAssam) September 14, 2024
In view of ADRE Class III (HSSLC) level exams scheduled tomorrow, September 15, 2024 (Sunday), Mobile Internet Services will be restricted across the State from 10AM to 1.30PM. pic.twitter.com/LfQWCh42HX
রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অজয় তেওয়ারির তরফে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, "অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ সরকারি পরীক্ষা আয়োজন করতে এবং জননিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলে এমন কোনও আইনশৃঙ্খলা সমস্যা সৃষ্টি হয় তা প্রতিরোধের জন্যই এই পদক্ষেপ ৷" 2305টি কেন্দ্রে 11 লক্ষ 23 হাজার 204 জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। তার মধ্যে 429 জনকে তাদের অবস্থান এবং অন্য বিষয়ের জেরে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, একটি অবাধ, ন্যায্য এবং স্বচ্ছ পদ্ধতি নিশ্চিত করার জন্য এবং অসামাজিক উপাদান বা সংগঠিত গোষ্ঠীগুলিকে বন্ধ করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল ৷ পরীক্ষার প্রক্রিয়াকে বিপাকে ফেলতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সরকার। রবিবার সকাল 10 টা থেকে দুপুর 1.30 পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট স্থগিত করার জন্য রাজ্য সরকার ভারতীয় টেলিগ্রাফ আইন, 1885-এর টেম্পোরারি সাসপেনশন অফ টেলিকম সার্ভিসেস (পাবলিক ইমার্জেন্সি বা পাবলিক সেফটি) রুল 2017-এর ধারা 5(2)-এর বিধানের অধীনে একটি নোটিশ জারি করেছেন।
Best wishes to all candidates appearing in the #ADRE Class III exam.
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) September 14, 2024
Give your best shot with full sincerity and integrity and with a relaxed mind.
Good luck 👍🏻
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে স্থির টেলিফোন লাইনের উপর ভিত্তি করে ভয়েস কল এবং ব্রডব্যান্ড সংযোগ সক্রিয় থাকতে পারে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস), 2023-এর ধারা 223 এবং ভারতীয় টেলিগ্রাফ আইন, 1885-এর ধারার অধীনে যে কোনও ধরনের লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সুষ্ঠু পরীক্ষা পরিচালনার জন্য নেওয়া ব্যবস্থাগুলি:
প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে 100 মিটার দূরত্বে পুলিশ পরীক্ষা করবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের 100 মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে প্রার্থীদের কোনও অভিভাবককে অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রার্থীকে শুধুমাত্র তাদের প্রবেশপত্র, নীল বা কালো কালির কলম, পেন্সিল, স্কেল, ইরেজার, আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এটিএম কার্ড এবং ন্যূনতম পরিমাণ নগদ বহন করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, প্রার্থীকে তিন থেকে 10 বছরের জেল এবং 1 লাখ থেকে 10 কোটি টাকা জরিমানা করা হতে পারে।
পরীক্ষা শুরুর দুই ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা
একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন, স্মার্ট ঘড়ি, বৈদ্যুতিক স্ক্যানার, ব্লুটুথ ডিভাইস, ইয়ারফোন, মাইক্রোফোন, ক্যালকুলেটর এবং পেন ড্রাইভ-সহ কোনও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বা প্রোগ্রাম ডিভাইস আনতে পারবেন না ৷ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা লিখেছেন, "এই পরীক্ষা শত শত যুবকের স্বপ্ন পূরণ করবে। আমরা এই পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করি। আপনাদের সকলের জন্য শুভকামনা ৷"