গুয়াহাটি, জুন 21: অসমে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে ৷ নতুন বেশ কিছু জায়গা ইতিমধ্যে জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে ৷ অবিরাম বৃষ্টিতে একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস ৷ বেশ কিছু নদীর জলসীমা বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে ৷ পাশাপাশি, অনেক জায়গায় নদী ভাঙন ও নদী বাঁধ ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ উদলগিরিতে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার ৷ নিখোঁজ আরও এক ৷ অসমে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 26 ৷
অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর অনুযায়ী, 22টি জেলা বর্তমানে বন্যা কবলিত ৷ যার মধ্যে খারাপ অবস্থা 1,311টি গ্রামের ৷ এর মধ্যে রয়েছে করিমগঞ্জের 279টি, তামুলপুরের 84টি, উদালগুড়িতে 51টি, বরপেতায় 58টি, কামরুপে 182টি, কোকরাঝাড়ে 70টি, দক্ষিণ সালমারায় 66টি, নলবাড়ির 99টি, দারাংয়ের 82টি এবং গোয়ালপাড়ার 98টি গ্রাম রয়েছে। নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন 4 লাখ 9 হাজার 356 জন।
জলের তলায় চলে গিয়েছে 6 হাজার 424 হেক্টর চাষের জমি ৷ বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য 105টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি রিলিফ সেন্টার তৈরি করা হয়েছে 78টি ৷ প্রায় 14 হাজার 215 জন বন্যা দুর্গত মানুষেরা ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৷
অন্যদিকে, সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, কামপুরের কপিলী নদী, মাটিজুরির কাটাখাল, বদরপুরঘাটের বরাক এবং করিমগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বলে জানানো হয়েছে ৷ আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিন রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির প্রবাহ অব্যাহত থাকবে ৷ 23 জুন পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে, অসম এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷