নয়াদিল্লি, 1 এপ্রিল: লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও বিপাকে দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ আগামী 15 এপ্রিল পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকতে হবে তাঁকে ৷ সোমবার আবগারি দুর্নীতি মামলায় এমনই নির্দেশ দিল দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত ৷ এই নির্দেশের পর দিল্লির তিহাড় জেলে রাখা হবে তাঁকে ৷ এদিন ইডি-এর হেফাজত শেষ হওয়ার পরে বিশেষ বিচারক কাবেরি বাওয়েজার আদালতে হাজির করা হয়েছিল কেজরিওয়ালকে ৷ সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয় আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোকে ৷
গত 22 মার্চ মামলার শুনানিতে কেজরিওয়ালকে 28 মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী হেফাজতে পাঠান বিশেষ বিচারক বাওয়েজা ৷ যদিও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় সেই মেয়াদ আরও 4 দিন বাড়ানোর অনুরোধ জানায় ইডি ৷ কেন্দ্রীয় সংস্থার সেই আবেদন মঞ্জুর করে রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত ৷ তবে এদিন আর নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায়নি ইডি ৷ তাদের অভিযোগ, 'সম্পূর্ণ অসহযোগিতা' করছেন আপ সুপ্রিমো ৷ তাঁকে প্রশ্ন করা হলে উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন ৷ এমনকী মোবাইলের পাসওয়ার্ড দিতেও রাজি হচ্ছেন না তিনি ৷ সেই জন্য় কেজরিওয়ালকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা ৷ এদিন সেই আবেদনে সিলমোহর দিল রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত ৷
সোমবার দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রীকে কড়া নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে নিয়ে আসে ইডি ৷ আদালতে ঢোকার মুখে ফের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান কেজরিওয়াল ৷ সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী যা করছেন তা এই দেশের জন্য় মোটেই ঠিক হচ্ছে না ৷" এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা। এছাড়াও এসেছিলেন দিল্লির দুই মন্ত্রী অতিশি মারলেনা এবং সৌরভ ভরদ্বাজ ৷
এদিন আদালতে তিনটি বই এবং ওষুধ নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান কেজরিওয়াল ৷ সেই বইগুলি হল রামায়ণ, ভগবদ্গীতা এবং সাংবাদিক নীরজা চৌধুরীর লেখা প্রধানমন্ত্রীদের সম্পর্কে একটি বই । পাশাপাশি, আইনজীবীর মাধ্য়মে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন তিহাড়ে কিছু নির্ধারিত ওষুধ নিয়ে যাওয়ারও আবেদন করেন দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন: