নয়াদিল্লি, 15 মার্চ: প্রত্যাশামতোই বিজেপিতে যোগ দিলেন দুই সাংসদ অর্জুন সিং ও দিব্যেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগ দিয়ে একযোগে মমতা তথা তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হন অর্জুন ও দিব্যেন্দু। দু'জনের মুখেই উঠে এল সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। পাশপাশি একবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে দল ছাড়ার কারণও ব্যাখ্যা করলেন অর্জুন। তাঁর দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে তৃণমূল যেভাবে বিজেপির কর্মীদের উপর অত্যাচার করছিল তার জন্য বাধ্য হয়েই দলত্যাগ করেন।
তিনি আরও বলেন, "নির্বাচন পরবর্তী হিংসা ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। সেই হিংসা থেকে দলীয় কর্মীদের বাঁচাতেই এমন পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল।" এরপরই বিজেপিতে ফিরে আসার কারণ ব্যাখ্য়া করেন অর্জুন। তুলে ধরেন সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। অর্জুনের কথায়, "গোটা পশ্চিমবঙ্গে এখন অনেকগুলো সন্দেশখালি আছে। বিভিন্ন জায়গায় নারীরা নির্যাতনের শিকার। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা করছে না। সন্দেশখালির ঘটনা দেখে আর চুপ করে থাকতে পারিনি। বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার কথা ভাবি। কারণ, একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই বাংলাকে বাঁচাতে পারবেন। বাংলায় প্রশাসন আর গুণ্ডারা একসঙ্গে কাজ করে। সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে পারবেন শুধু মোদি । সন্দেশখালির ঘটনায় তিনি নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই তাঁদের কথা গোটা দুনিয়া জানতে পেরেছে।" পাশাপাশি,সিএএ নিয়েও তোপ দাগেন অর্জুন। তিনি জানান, বাংলায় সুশাসন আনতে যদি সামান্য অবদানও রাখতে পারেন তাহলে নিজেকে গর্বিত মনে করবেন।
অন্যদিকে কাঁথির সাংসদ দিব্যেন্দু বলেন," মোদিজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আমরা বাঙালিরা মা দুর্গার পুজো করি । মা কালীর পুজো করি । সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তাতে নিন্দার ভাষা নেই। এটা এখন আর শুধু বাংলার বিষয় ন, সারা দেশের বিষয়। সন্দেশখালিতে নির্যাতিতার কাছে সবার আগে বিজেপি পৌঁছেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে সবার অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু উনি মহিলাদের জন্য শুধুই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের 500 টাকা দিচ্ছেন। এভাবে সম্মান করা যায় না।"
আরও পড়ুন: