নগাঁও, 23 অগস্ট: কলকাতায় চিকিৎসক পড়ুয়া ধর্ষণের রেশ এখনও কাটেনি ৷ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল রাজ্য থেকে দেশ ৷ গোটা দেশকে নাড়া দিয়েছে ৷ এমন সময় ফের ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে ৷ এবার অসমের নগাঁওতে এক নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে ৷ জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে নগাঁওয়ের ধিং এলাকায় ৷ এর প্রতিবাদে অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন শুক্রবার ওই এলাকায় বনধের ডাক দিয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে নগাঁওয়ের ধিং টাউনে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার সময় নাবালিকাকে তিন দুষ্কৃতী ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় শ্মশানের কাছে নাবালিকা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ফেলে দিতে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন এলাকার লোকজন। পথচারীরা নাবালিকাকে নগ্ন, অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে নাবালিকাকে উদ্ধার করে ধিং ফার্স্ট রেফারেল ইউনিট হাসপাতালে পাঠায়। যদিও পরে নাবালিকাকে নগাঁও মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
সন্ধ্যায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরে নগাঁও জেলার পুলিশ সুপার স্বপ্ননীল ডেকা-সহ নগাঁও পুলিশের একটি দল রাতেই ধিং এলাকায় পৌঁছয় ৷ পুলিশ সুপার স্বপ্ননীল ডেকা ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন। স্বপ্ননীল ডেকা বলেন, "এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। নির্যাতিতা চিকিৎসাধীন। আমরা দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি ৷ বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি এবং সেগুলি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। দ্রুত আমরা অপরাধীদের গ্রেফতার করব ৷ তাদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।" উল্লেখ্য, ধর্ষণের ঘটনায় রাতেই দুই সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ ৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পরই স্থানীয় বেশকিছু সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। রাতে অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের একটি অংশ অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছে। অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ধিং ইউনিট শুক্রবার ধিং বনধের ডাক দিয়েছে ৷ ধর্ষকদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত ধিং বন্ধের ঘোষণাও করেছে তারা। আসু ঘোষণা করেছে, যাবতীয় দোকানপাট, প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকবে।