নয়াদিল্লি, 23 মার্চ: দিল্লির আবগারী দুর্নীতি মামলায় এবার বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গ্রেফতারি দাবি করলেন আপ নেত্রী তথা দিল্লি সরকারের মন্ত্রী অতিশী ৷ শনিবার তিনি দাবি করেছেন, এই মামলায় মানি ট্রেল (অর্থ কোথায় কোথায় পৌঁছেছে) বিজেপির অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে ৷ সেই কারণেই তিনি নাড্ডার গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন ৷ এই নিয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ৷
আবগারী দুর্নীতি মামলায় গত বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ শুক্রবার কেজরিওয়ালকে ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত ৷ তার পর শনিবার এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন অতিশী ৷ সেখানে তিনি বলেন, "দিল্লির তথাকথিত আবগারী নীতি কেলেঙ্কারিতে গত দুই বছর ধরে সিবিআই ও ইডির তদন্ত চলছে । এই দুই বছরে বারবার একটা প্রশ্ন উঠে এসেছে, টাকা কোথায় গেল ? টাকা গেল কোথায় ? আপের কোনও নেতা, মন্ত্রী বা কর্মীর কাছ থেকে অপরাধের কোনও অর্থ উদ্ধার করা হয়নি ।"
তিনি আরও বলেন, "অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দু’দিন আগে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে মাত্র একজন ব্যক্তির বক্তব্যের ভিত্তিতে ৷ তিনি শরৎ চন্দ্র রেড্ডি । তিনি অরবিন্দ ফার্মার মালিক...তাঁকে 9 নভেম্বর 2022-এ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল । তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে কখনও দেখা করেননি বা কথা বলেননি এবং আপের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই ।"
অতিশীর দাবি, এটা বলার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ বেশ কয়েকমাস জেলে কাটানোর পর তিনি নিজের বয়ান বদল করেন ৷ কেজরিওয়ালের নাম জড়িয়ে দেন ৷ অতিশী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘তিনি এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে জামিন দেওয়া হয় । কিন্তু টাকা কোথায় ? মানি ট্রেল কোথায় ?"
সেই প্রসঙ্গে দিল্লি সরকারের এই মন্ত্রীর সংযোজন, "তিনি (শরৎ চন্দ্র রেড্ডি) বিজেপিকে 4.5 কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড দিয়েছেন । এবং তারপরে 55 কোটি টাকার বন্ডও দিয়েছেন । মানি ট্রেল কোথায় ? বিজেপির অ্যাকাউন্টে একটি মানি ট্রেল মানি পাওয়া গিয়েছে । আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইডিকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি যে বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে গ্রেফতার করে দেখাক ।’’
উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারী দুর্নীতি মামলায় বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে সিবিআই ও ইডি ৷ ধৃতদের মধ্যে হেভিওয়েটদের তালিকায় রয়েছেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং আপের সাংসদ সঞ্জয় সিং ৷ তাঁরা এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন ৷ দিনকয়েক আগে এই মামলায় গ্রেফতার হন তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর মেয়ে তথা ওই রাজ্যের বিধান পরিষদের সদস্য কে কবিতা ৷
তার পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্য়ায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি৷ যদিও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিকবার সমন পাঠানো হয়েছে ইডি-র তরফে ৷ কিন্তু প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি ৷ আপাতত তিনি ইডি হেফাজতে রয়েছেন ৷ আদালতের নির্দেশে আগামী 28 মার্চ পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: