ফারুখাবাদ (উত্তরপ্রদেশ), 1 সেপ্টেম্বর: উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে ধর্ষণের পর সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ল 13 বছরের এক কিশোরী ৷ এই ঘটনায় স্থানীয় সরকারি স্কুলের পিয়নের বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৷ শনিবার পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় ওই কিশোরীর পরিবার ধর্ষণের অভিযোগ করেছে ৷
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নাবালিকা রাতে বাড়ির বাইরে শৌচালয়ে গেলে পঙ্কজ ও অমিত নামে দুই ব্যক্তি তাঁকে অপহরণ করে একটি খালি বাড়িতে নিয়ে যায়। পঙ্কজ বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়, অমিত কিশোরীকে ধর্ষণ করে। কাউন্সিল স্কুলের পিয়ন ছাড়াও এই ধর্ষণে অভিযুক্তর সহযোগীর বিরুদ্ধেও একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে যিনি কয়েক মাস আগে এই ঘটনার সময় অভিযুক্তকে কিশোরীর অপহরণ-ধর্ষণে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একজন পুলিশ কর্তা বলেন, "13 বছর বয়সী মেয়েটির পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মেয়েটি রাতে শৌচকর্ম করতে গেলে গ্রামের পঙ্কজ ও অমিত তাঁকে ধরে একটি খালি বাড়িতে নিয়ে যায় ৷ অমিত তাঁকে ধর্ষণ করে এবং পঙ্কজ বাইরে দাঁড়িয়ে নজর রাখে ৷ অভিযুক্তরা মুখে কাপড় দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটিকে হুমকি দেওয়া হয়, অভিযোগ করলে তাঁকে মেরে ফেলা হবে। কিন্তু, মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি তাঁর মা জানতে পেরে যান। তারপর তিনি স্থানীয় থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান ৷”
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷ পঙ্কজ কাউন্সিল স্কুলের একজন পিয়ন । কেয়ামগঞ্জ কোতোয়ালির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রাম অবতার জানান, মেয়েটির প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে । তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ঘটনায় শিঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি ৷