বিজাপুর, 10 মে: ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে এনকাউন্টারে প্রাণ গেল 12 জন মাওবাদীর ৷ প্রায় 12 ঘণ্টা ধরে চলে তীব্র গুলিবিনিময় ৷ মাওবাদীদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে গাঙ্গালুরের পিডিয়ার জঙ্গল ঘিরে ফেলেছিলেন প্রায় 900 আধাসেনা জওয়ান ৷ এনকাউন্টার শেষ হলে গোটা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হয় ৷ তখনই উদ্ধার করা হয় 12 জন মাওবাদীর দেহ ৷ এ ছাড়াও ওই এলাকা থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
দান্তেওয়াড়ার ডিআইজি কমলোচন কাশ্যপ জানিয়েছেন, দীর্ঘ এনকাউন্টার হয় । এনকাউন্টারে 12 জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে । সেনারা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছিল । জওয়ানদের ঘেরাটোপে আটকে পড়েন মাওবাদীদের শীর্ষ নেতারা ৷ আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, "উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে । কয়েকজন মাওবাদীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর এসেছে ৷ আধাসেনা জওয়ানরা এলাকা ঘিরে রেখেছে । সৈন্যরা ফিরে এলে তবেই আমরা জানতে পারব এনকাউন্টারের আপডেট কী ।" পরে জানা যায় যে, 12 জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে এনকাউন্টারে ৷
বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব এ দিন বলেন, "পিডিয়ার জঙ্গলে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পাওয়া যায় । এই তথ্য পাওয়ার পর দান্তেওয়াড়া ও বিজাপুর জেলার আধাসেনা জওয়ানরা ওই এলাকায় যৌথ অভিযান চালায় । ডিআরজি এবং এসটিএফের সঙ্গে সিআরপিএফ কর্মীরা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় । জঙ্গলে কট্টর মাওবাদী লিঙ্গা ও পাপারাওয়ের উপস্থিতির খবর পাওয়া গিয়েছে । মাওবাদী শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বহু ভয়ংকর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত মাওবাদীরও সেখানে উপস্থিতির তথ্য এসেছে ।" তবে মৃত মাওবাদীদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি ৷
উল্লেখ্য, গত 30 এপ্রিল ছত্তিশগড়ের আবুজহমাদে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে বড়সড় সাফল্য পায় পুলিশ ও এসটিএফ । জওয়ানরা এনকাউন্টারে 10 মাওবাদীকে হত্যা করেন । এর মধ্যে দুই মহিলা মাওবাদীও ছিলেন ।
আরও পড়ুন: