আগর মালওয়া (মধ্যপ্রদেশ), 3 এপ্রিল: এই বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি কী ? ব্যক্তি বিশেষে এর ব্যাখ্যা আলাদা ৷ কারও কাছে, মাতৃত্ব বা পিতৃত্ব। কারও কাছে আবার নতুন প্রেম ৷ এভাবেই ব্যক্তি বিশেষে সেই অনুভূতির বদল হয় ৷ কিন্তু, এই সব অনুভূতিতেই একটি বিষয় থাকে ৷ তা হল, ভালোবাসা ৷ আর এই ভালোবাসার অনুভূতি যখন কেউ পায় তখন তাঁর কাছে স্থান, কাল, পাত্র কোনও বিবেচ্য নয় ৷ কোনও বাধা হয় না ভাষা, বর্ণ ও বয়সের ফারাকটাও ৷ আর তেমনটাই হয়েছে মধ্যপ্রদেশের বলুরাম এবং মহারাষ্ট্রের শিলার সঙ্গে ৷ আজ তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ৷
প্রেমে তো অনেকই পড়েন ৷ কিন্তু, কেন বিশেষ বলুরাম এবং শিলার বিয়ে ? বিশেষত্ব, তাঁদের বয়সের কারণে ৷ মধ্যপ্রদেশের আগর মালওয়া জেলার সুসনার বাসিন্দা বলুরামের বয়স 80 বছর ৷ আর মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর শিলা ইঙ্গেলের বয়স 34 বছর ৷ স্বাভাবিকভাবেই 46 বছরের বয়সের এই ফারাক যে কারও চোখ কপালে তুলে দিতে পারে ৷
ইনস্টাগ্রামে একবছর আগে দু’জনের পরিচয় হয়েছিল ৷ অমরাবতীর শিলা সুসনা গ্রামে এসেছিলেন তাঁর ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে দেখা করতে ৷ সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় থেকে সেই দেখা ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হয় ৷ আর কথায় আছে, প্রেমের সুবাস বেশিদিন চাপা যায় না ৷ এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে ৷ মধ্যপ্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে অশীতিপর এবং যুবতীর প্রেমের কাহিনী ৷ খুল্লাম-খুল্লা দু’জনের প্রেমও চলতে থাকে ৷ সম্প্রতি বয়সের দীর্ঘ ব্যবধানকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বলুরাম এবং শিলা ৷
মধ্যপ্রদেশের আগর মালওয়া জেলায় আইনিভাবে বিয়ে করেছেন বলুরাম এবং তাঁর শিলা ৷ প্রেমিক-প্রেমিকার খলোস ত্যাগ করে বর্তমানে তাঁরা দম্পতি ৷ এমনকী ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের অফিসের সামনে হনুমান মন্দিরে মালা-বদল করেন ৷ সেই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে ৷ তাতে লোকজনের নানান রকম মন্তব্য ভেসে উঠছে ৷ তবে, শিলা এবং বলুরাম এই বিয়েতে খুশি বলে জানিয়েছেন ৷ শিলা জানান, বলুরামকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে তিনি খুব খুশি ৷
আরও পড়ুন: