হায়দরাবাদ ও মুম্বই, 7 সেপ্টেম্বর: শনির সকাল হতেই চারিদিকে ধ্বনিত হচ্ছে 'গণপতি বাপ্পা মরিয়া', 'মঙ্গলমূর্তি মরিয়া' ৷ আর এই গণেশ পুজো থেকেই শুরু হয়ে যায় উৎসবের মরশুম ৷ প্রতিবছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে শুরু হয় এবং চতুর্দশী তিথিতে শেষ হয়। এই দশদিন 10 দিন ধরে ধুমধাম করে গণপতি বাপ্পার পুজোয় মেতে উঠবে দক্ষিণের রাজ্যগুলি ৷ তারমধ্যে মহারাষ্ট্রে বাপ্পাকে নিয়ে মেতে ওঠার ব্যাপারটা যেন সবথেকে সেরা ৷ নজর কাড়ে হায়দরাবাদের গণপতি পুজোও ৷ দেখে নিন দুই মেট্রো শহরের বিখ্যাত গণেশ পুজো ৷
মুম্বইয়ের খ্যাতনামা পুজো- মহারাষ্ট্রে এই গণেশ উৎসবের উদযাপন অনেকটা অন্য রকমের। এখানে বিরাট ধুমধাম করেন পুজো হয়। মুম্বইতে বড় বড় প্যান্ডেল হয়, বিরাট বিরাট গণেশের মূর্তি আনা হয়। এইসব সর্বজনীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল মুম্বইয়ের শহরের লালবাগের গণেশ পুজো। এখানের ভগবান গণেশের মূর্তিকে বলা হয় 'লালবাগের রাজা'। গিরগাঁও চৌপাট্টিতে এই মূর্তিটি পুজোর দ্বিতীয় দিন থেকে অনন্ত চতুর্দশী অর্থাৎ গণপতি বিসর্জন পর্যন্ত দর্শন করতে দেওয়া হয়। প্রতিদন প্রায় 15 লক্ষ দর্শনার্থী প্যান্ডেলে আসেন দেব-দর্শনের জন্য।
লালবাগচার এবারের রূপ- লালবাগচা রাজার পরনে রয়েছে মেরুন রঙা পোশাক। যা দেখে মোহিত দর্শনার্থীরা। এবারের মূর্তির অন্যতম আকর্ষণ তাঁর 20 কেজি সোনার মুকুট। সংবাদমাধ্যম প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, 20 কেজি ওজনের আর 15 কোটি টাকা মূল্যের এই মুকুট দান করেছেন মুকেশপুত্র ব্যবসায়ী অনন্ত অম্বানি ৷ এই পুজো দেখতে আসেন আমজনতা থেকে শুরু করে তারকারা। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, ভগবান গণেশ 'লালবাগচা রাজা' , তিনি ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন ৷
হায়দরাবাদের বাপ্পা- উৎসবের আবহে হায়দরাবাদের খয়রাতাবাদ এলাকায় 70 ফুটের বিশাল গণেশ মূর্তি তৈরি হয়েছে ৷ সকাল থেকেই তেলেঙ্গানার এই মণ্ডপে গণেশ ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েচে। গণেশ দর্শনে ইতিমধ্যেই গিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি। সপরিবারে খয়রাতাবাদের এই গণেশ পূজায় তিনি অংশ নেন।