বারাণসী, 21 এপ্রিল: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংসদীয় এলাকা বারাণসী ৷ এখানেই রয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ৷ এই মন্দির সম্প্রসারণ এবং বিশ্বনাথ ধাম নির্মাণের পর দিন দিন ভিড় বাড়ছে ভক্তদের। অনেক ট্রাস্টও বাবা বিশ্বনাথের সেবায় এগিয়ে আসছে । তেমনই একটি হল দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত নাট্টুকোট্টাই ট্রাস্ট ৷ এই ট্রাস্টের তরফে বাবা বিশ্বনাথকে নিয়মিত ভোগ প্রসাদ এবং আরতির সামগ্রী প্রদান করা হয় । এবার তারা কাশীতে একটি বড় ধরমশালা নির্মাণ করতে চলেছে ৷ রবিবার ওই ধরমশালার ভূমিপুজো হল । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ।
জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথ মন্দিরের সেবায় কাজ করে শ্রী কাশী নাট্টুকোট্টাই নগর সাতরাম ম্যানেজিং সোসাইটি ৷ 1813 সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যেখানে ভগবান শিব, ভগবান রাম, ভগবান কার্তিক এবং অন্যান্য হিন্দু দেবতাদের নিবেদিত মন্দির রয়েছে সেখানে । তাদের বারাণসী, অযোধ্যা, প্রয়াগ রাজ, গয়া, নাসিক, কলকাতা, তারকেশ্বর, কারাইকুডি, দেবীপট্টিনম, পালানি এবং চেন্নাইতে ধরমশালা রয়েছে ।
নাট্টুকোট্টাই নগর সাতরাম তাদের ধর্মীয় ও দাতব্য কাজের জন্য পরিচিত । এছাড়া এই ট্রাস্টের থেকে গত 210 বছর ধরে একটানা দিনে 3 বার দিনে 3টি আরতির জন্য ভগবান বিশ্বনাথ ও ভগবান বিশালাচীর কাছে পুজোর সামগ্রী পাঠানো হয় । এই প্রক্রিয়াটিকে সাম্বো বলা হয় । ট্রাস্টের সদস্যরা জানান, তারা বারাণসীর সিগ্রাতে একটি নতুন ধরমশালা তৈরি করতে চলেছে এবং এর জন্য 21 এপ্রিল অর্থাৎ আজ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । তাতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অংশ নেন ।
ট্রাস্টের তরফে বলা হয়েছে, 1894 সালে মাত্র 5500 টাকায় বারাণসীর সিগরা এলাকায় জমি কেনা হয়েছিল । সেই সময় এই জমি কেনার উদ্দেশ্য ছিল কাশী বিশ্বনাথের পুজোর ফুল ও বেল পাতা চাষ করা । এছাড়াও, গবান বিশ্বনাথের সেবার জন্য এখানকার লোকদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল ।
মোট 65 হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই জমিটি প্রায় 50 বছর ধরে কিছু লোকের দখলে ছিল । যেটি 2022 সালে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর প্রচেষ্টায় খালি হয়েছে । এরপর এই জমিটি ট্রাস্টের কাছে ফিরে আসে ৷ এই পুরো জমিটিতে বিশ্বনাথ মন্দিরে আসা ভক্তদের বিনামূল্যে থাকার জন্য ধরমশালা তৈরি করা হবে । যেটিতে 135টি ঘর থাকবে এবং 10 তলা বিল্ডিংটিতে হোস্টেল, থাকার ব্যবস্থা, ব্যাঙ্কুয়েট হল ইত্যাদির মতো অন্যান্য সুবিধাও থাকবে ।
আরও পড়ুন: