Breast Milk Donation: অপুষ্টির শিকার শিশুদের জন্য স্তন্যদুগ্ধ দান করে গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে এলিজাবেথ
🎬 Watch Now: Feature Video
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরবর্তী ছ'মাস সন্তানের কাছে মাতৃদুগ্ধের কোনও বিকল্প হয় না ৷ তবে পৃথিবীতে বহু এমন শিশু রয়েছে, পৃথিবীর আলো দেখার পর থেকে অপুষ্টির শিকার ৷ সেই অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের কথা ভেবে দৃঢ় সাহসী পদক্ষেপ করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুললেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ অ্যান্ডারসন ৷ যিনি নিজের দুই সন্তান অলোহা ও অরেগানকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর পাশাপাশি আরও হাজারেরও বেশি অপুষ্টিতে ভোগা ও প্রি-ম্যাচিওর শিশুদের মুখে তুলে দিয়েছেন মাতৃদুগ্ধ ৷ এ যাবৎ প্রায় 1 হাজার 599.68 লিটার বুকের দুধ দান করেছেন এলিজাবেথ ৷ যা বিশ্বরেকর্ড ৷ ফেব্রুয়ারি 2015 থেকে জুন 2018-র মধ্যে মিল্ক ব্যাঙ্কে এলিজাবেথের 50 হাজার আউন্সের বেশি স্তনদুগ্ধ দুধ দান করার ভিডিয়ো শেয়ার করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ৷ এলিজাবেথ বলেন, "আমি কখনই চাইব না, আমার শত্রুরও এমন খারাপ পরিস্থিতি হোক ৷ এটা কোনও হাস্যকর বিষয় নয় ৷ আমার স্তনের দুধ পান করে কতজন শিশু উপকৃত হয়েছে, তা জানা অসম্ভব ৷" এরপরেই ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, কীভাবে এলিজাবেথ তাঁর ব্রেস্ট মিল্ক বোতলে করে ভরে রাখছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, প্রতি দু'মিনিট অন্তর তাঁর বুকে দুধ তৈরি হওয়া শুরু হয়ে যেত ৷ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট অনুসারে, যে সকল শিশুরা মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত, তাদের কাছে পৌঁছে যেতে এলিজাবেথের ব্রেস্ট মিল্ক ৷ এলিজাবেথ জানিয়েছন, ব্যতিক্রমী দুধ উৎপাদনের জন্য দায়ী তাঁর শরীরের হরমোন প্রোল্যাক্টিন ৷ এই হরমোনের কারণে একজন মায়ের বুকের দুধ অতিরিক্ত পরিমাণে উৎপন্ন হয় ৷ এলিজাবেথ আশা করেন যে স্তনদুগ্ধ দান করার ক্ষেত্রে, তার নিঃস্বার্থ কাজটি অগণিত শিশুর পুষ্টিতে সহায়তা প্রদান করবেই, পাশাপাশি হাইপারল্যাক্টেশন সিন্ড্রোম সম্পর্কে সচেতনতাও বাড়াবে।