Bird Census: এশিয়ার সর্ববৃহৎ পক্ষীনিবাস কুলিকে শুরু পাখি গণনা
🎬 Watch Now: Feature Video
প্রতিবারের মতো এবারও রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে শুরু হল পাখি গণনার কাজ । শনি ও রবি দু'দিন ধরে চলবে গণনা প্রক্রিয়া । গণনার ফলাফল অনুসারে গতবছর বিপুল পরিমাণ পরিযায়ী পাখি এসেছিল এই কুলিক পক্ষীনিবাসে । প্রতিবছরই মে মাসের শেষের দিকে নাইট হেরেন, ওপেন বিল স্টক, কর্মরেন্ট ও ইগ্রেট এই চার প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসে কুলিক পক্ষীনিবাসে ৷ প্রজনন ঘটিয়ে শাবকদের লালন পালন করে আবার নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে তারা পাড়ি দেয় ভিনদেশে । বছরের পর বছর ধরে এমনটাই চলে আসছে ।
পাখির সংখ্যার নিরিখে সম্প্রতি এশিয়ার সর্ববৃহৎ পক্ষীনিবাস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে কুলিক পক্ষীনিবাস । c (Bird Census) অনুষ্ঠিত হয় ৷ এবারে মোট 5টি সংস্থা এই গণনার কাজে অংশ নিয়েছে । যার মধ্যে রয়েছে উত্তর দিনাজপুর পিপল ফর অ্যানিম্যালস, রায়গঞ্জ পিপল ফর অ্যানিম্যালস, নর্থবেঙ্গল ফটোগ্রাফি ক্লাব, এইচএমটিএ (HMTA) এবং উড়ান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি । বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি চলছে ।
এই বিষয়ে এইচএমটিএর প্রতিনিধি ঋজু দে বলেন, "বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এলেও এশিয়ান ওপেন বিল স্টকের সংখ্যা থাকে সবচাইতে বেশি । গণনা পদ্ধতিতে প্রতিটি গাছে নাম্বারিং করা থাকে । প্রতি গাছে প্রথমে পাখির বাসাগুলিকে গোনা হয় । বাসা প্রতি গড়ে চারটি করে পাখি ধরা হয় । এরপর পুরো তথ্য তুলে দেওয়া হয় বন বিভাগের হাতে ।"
অপরদিকে রেঞ্জ আধিকারিক প্রমিতা লামার কথায়, "গত 2 বছরে পাখির সংখ্যা বেড়েছিল । তবে এবারে বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় কিছুটা সংশয় রয়েছে । তবে এখনও পর্যন্ত ইগ্রেট ও কর্মরেন্ট প্রজাতির পাখির সংখ্যা বেশ ভালো রয়েছে ৷"