ETV Bharat / sukhibhava

Travel During Durga Puja: পুজোর ছুটিতে আপনার অফবিট ডেস্টিনেশন হোক কালিম্পংয়ের রামধুরা - Kalimpong

Durga Puja Travel Destination: পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যেতে পারেন কোথায়, তার হদিশ দেব আমরা৷ স্বল্প সময়ে অল্প আয়ে এই জায়গাগুলি হতে পারে আপনাদের 'ডিয়ার ডেস্টিনেশন' ৷ ভিড় এড়িয়ে চলে আসুন প্রকৃতির কোলে ৷ কালিম্পংয়ে সবুজে ঘেরা ছোট্ট গ্রাম রামধুরা-তে কাটিয়ে যান দিনকয়েক ৷ একবার আসলে, মন চাইবে বারবার ৷

Etv Bharat
অফবিট ডেস্টিনেশন কালিম্পংয়ের রামধুরা
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 28, 2023, 9:05 PM IST

Updated : Aug 28, 2023, 11:05 PM IST

শিলিগুড়ি: 'মেঘ পিওনের ব্যাগের ভিতর মন খারাপের দিস্তা, মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা...'- রোজনামচা জীবনে হাজারো চিন্তার মধ্যে যখন হাঁফিয়ে ওঠে মন, তখন দূরের শান্ত নিরিবিলি পাহাড়ের কোল যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে ৷ এও তেমনই এক জায়গা ৷ একদিকে সবুজ কোলে নীল-সাদা মেঘের ভেলা ৷ অন্যদিকে ঘন পাইনের জঙ্গল। তারই পাশ দিয়ে খিলখিলিয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ি ঝর্ণা। নিস্তব্ধতায় কান পাতলে শোনা যায় পাখিদের কলতান। আচ্ছা বলুন তো, এমন জায়গায় কে না, যেতে চায় ? আপনিও যদি চান, তাহলে যেতে হবে মেঘে ঢাকা গ্রাম রামধুরায়।

Travel During Durga Puja
পাহাড়ের কোলে হোম স্টে

প্রায় পাঁচ হাজার আটশো ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কালিম্পংয়ের অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা গ্রাম রামধুরা। দেখে মনে হবে প্রকৃতির সঙ্গে সেখানে বাস করেন দেব-দেবীরাও। লোকমুখে শোনা যায়, ভগবান রামচন্দ্রের নামে এই গ্রামের নাম। ধুরা কথার অর্থ গ্রাম। এখানে শ্বেতশুভ্র শিবের মন্দিরে জল ঢালার জন্য জল আনতে হয় তিস্তা থেকে। পর্যটকদের শিব মন্দিরে জল ঢালতে রামধুরা থেকে ট্রেকিং করে যেতে হয় তিস্তা নদীতে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ ভেঙে উঠতে হয় উপরে। চমকে দিতে পারে হঠাৎ নেমে আসা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি । গোটা পাহাড় শুধু সবুজ আর সবুজ । ছুটিতে পাহাড়ে যদি অফবিট জায়গার খোঁজ করে থাকেন তাহলে রামধুরা গ্রাম আপনাদের জন্য আদর্শ জায়গা।

Travel During Durga Puja
পাইনের সারি সারি গাছ

সকালে ঘুম থেকে উঠে জানলা খুললেই দেখা মিলবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা কাঞ্চনজঙ্ঘার। রামধুরা থেকে একাধিক ট্রেকিং রুট রয়েছে। জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পায়ে চলা পথ। চারপাশে কুয়াশার রহস্যময়তা। সেখান থেকে কাছেই রয়েছে জলসা ভিউ পয়েন্ট। সেখানে সিঙ্কোনা গাছের চাষও হয়। রয়েছে আমলকী, হরীতকী, চিরতার জঙ্গল। 1930 সালে তৈরি জলসা বাংলো আজও আছে। কাঠের বাংলো যেন, ফেলে আসা অতীত মনে করিয়ে দেবে পর্যটকদের। অন্যদিকে, রামধুরা ভিউ পয়েন্ট থেকে দেখা যাবে সারি সারি পাহাড়, তিস্তার একাধিক বাঁধ এবং রঙপো ব্রিজ। এছাড়াও রামধুরাতে যদি এক রাত কাটান তাহলে সেখান থেকে যেতে পারেন ইচ্ছেগাঁও, সিলারিগাঁওয়ের মতো জায়গায়।

Travel During Durga Puja
নীল-সাদা মেঘের ভেলা

কোথায় থাকবেন ?

রামধুরায় কোনও হোটেল নেই ৷ তাই আপনাকে থাকতে যে কোনও হোম স্টে-তে ৷ এখানে পাহাড়ের কোলে একাধিক হোম স্টে তৈরি হয়েছে ৷ প্রায় 40টির মতো হোম স্ট্রে পেয়ে যাবে আপনি ৷ অনলাইনে সার্চ করে পছন্দমতো হোম স্টে বুক করে নিতে পারেন ৷ অফসিজনে সেখানে গিয়ে রুম বুক করলেও পুজোর সময় অবশ্যই হোম স্টে বুক করে যাবেন ৷ এখানে মাথাপিছু খরচ পড়বে 1200 টাকা থেকে 1500 টাকা ৷ তারমধ্যে থাকবে টিফিন, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার ৷ চাইলে ক্যাম্পিং-ও করতে পারেন ৷

Travel During Durga Puja
আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ

কীভাবে যাবেন?

নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে রামধুরার দূরত্ব প্রায় 86 কিলোমিটার। ইচ্ছেগাঁও যাওয়ার রাস্তাতেই পড়ে রামধুরা। আলগাড়া হয়ে যে রাস্তাটি উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে সেটাই ইচ্ছেগাঁও ও রামধুরা যাওয়ার রাস্তা। এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়া যায় রামধুরা। ছোট গাড়ি রিজার্ভ করলে মাথাপিছু খরচ হবে 1200 টাকার মতো। তবে শেয়ার গাড়িতে কালিম্পং হয়ে গেলে খরচ অনেকটাই কম পড়বে। এনজেপি বা জংশন থেকে কালিম্পং গেলে খরচ হবে 250 থেকে 300 টাকার মতো। কালিম্পং থেকে ছোট গাড়ি নিলে পাঁচশো থেকে ছ'শো টাকায় পৌঁছে যাওয়া যাবে রামধুরা। কালিম্পং থেকে রামধুরা পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় দেড় ঘন্টা।

আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে বেড়িয়ে পড়ুন, ঠিকানা হোক রাজ্যের শেষ সীমানা সাঙ্গসেরে গ্রাম

শিলিগুড়ি: 'মেঘ পিওনের ব্যাগের ভিতর মন খারাপের দিস্তা, মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা...'- রোজনামচা জীবনে হাজারো চিন্তার মধ্যে যখন হাঁফিয়ে ওঠে মন, তখন দূরের শান্ত নিরিবিলি পাহাড়ের কোল যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে ৷ এও তেমনই এক জায়গা ৷ একদিকে সবুজ কোলে নীল-সাদা মেঘের ভেলা ৷ অন্যদিকে ঘন পাইনের জঙ্গল। তারই পাশ দিয়ে খিলখিলিয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ি ঝর্ণা। নিস্তব্ধতায় কান পাতলে শোনা যায় পাখিদের কলতান। আচ্ছা বলুন তো, এমন জায়গায় কে না, যেতে চায় ? আপনিও যদি চান, তাহলে যেতে হবে মেঘে ঢাকা গ্রাম রামধুরায়।

Travel During Durga Puja
পাহাড়ের কোলে হোম স্টে

প্রায় পাঁচ হাজার আটশো ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কালিম্পংয়ের অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা গ্রাম রামধুরা। দেখে মনে হবে প্রকৃতির সঙ্গে সেখানে বাস করেন দেব-দেবীরাও। লোকমুখে শোনা যায়, ভগবান রামচন্দ্রের নামে এই গ্রামের নাম। ধুরা কথার অর্থ গ্রাম। এখানে শ্বেতশুভ্র শিবের মন্দিরে জল ঢালার জন্য জল আনতে হয় তিস্তা থেকে। পর্যটকদের শিব মন্দিরে জল ঢালতে রামধুরা থেকে ট্রেকিং করে যেতে হয় তিস্তা নদীতে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ ভেঙে উঠতে হয় উপরে। চমকে দিতে পারে হঠাৎ নেমে আসা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি । গোটা পাহাড় শুধু সবুজ আর সবুজ । ছুটিতে পাহাড়ে যদি অফবিট জায়গার খোঁজ করে থাকেন তাহলে রামধুরা গ্রাম আপনাদের জন্য আদর্শ জায়গা।

Travel During Durga Puja
পাইনের সারি সারি গাছ

সকালে ঘুম থেকে উঠে জানলা খুললেই দেখা মিলবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা কাঞ্চনজঙ্ঘার। রামধুরা থেকে একাধিক ট্রেকিং রুট রয়েছে। জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পায়ে চলা পথ। চারপাশে কুয়াশার রহস্যময়তা। সেখান থেকে কাছেই রয়েছে জলসা ভিউ পয়েন্ট। সেখানে সিঙ্কোনা গাছের চাষও হয়। রয়েছে আমলকী, হরীতকী, চিরতার জঙ্গল। 1930 সালে তৈরি জলসা বাংলো আজও আছে। কাঠের বাংলো যেন, ফেলে আসা অতীত মনে করিয়ে দেবে পর্যটকদের। অন্যদিকে, রামধুরা ভিউ পয়েন্ট থেকে দেখা যাবে সারি সারি পাহাড়, তিস্তার একাধিক বাঁধ এবং রঙপো ব্রিজ। এছাড়াও রামধুরাতে যদি এক রাত কাটান তাহলে সেখান থেকে যেতে পারেন ইচ্ছেগাঁও, সিলারিগাঁওয়ের মতো জায়গায়।

Travel During Durga Puja
নীল-সাদা মেঘের ভেলা

কোথায় থাকবেন ?

রামধুরায় কোনও হোটেল নেই ৷ তাই আপনাকে থাকতে যে কোনও হোম স্টে-তে ৷ এখানে পাহাড়ের কোলে একাধিক হোম স্টে তৈরি হয়েছে ৷ প্রায় 40টির মতো হোম স্ট্রে পেয়ে যাবে আপনি ৷ অনলাইনে সার্চ করে পছন্দমতো হোম স্টে বুক করে নিতে পারেন ৷ অফসিজনে সেখানে গিয়ে রুম বুক করলেও পুজোর সময় অবশ্যই হোম স্টে বুক করে যাবেন ৷ এখানে মাথাপিছু খরচ পড়বে 1200 টাকা থেকে 1500 টাকা ৷ তারমধ্যে থাকবে টিফিন, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার ৷ চাইলে ক্যাম্পিং-ও করতে পারেন ৷

Travel During Durga Puja
আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ

কীভাবে যাবেন?

নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে রামধুরার দূরত্ব প্রায় 86 কিলোমিটার। ইচ্ছেগাঁও যাওয়ার রাস্তাতেই পড়ে রামধুরা। আলগাড়া হয়ে যে রাস্তাটি উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে সেটাই ইচ্ছেগাঁও ও রামধুরা যাওয়ার রাস্তা। এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়া যায় রামধুরা। ছোট গাড়ি রিজার্ভ করলে মাথাপিছু খরচ হবে 1200 টাকার মতো। তবে শেয়ার গাড়িতে কালিম্পং হয়ে গেলে খরচ অনেকটাই কম পড়বে। এনজেপি বা জংশন থেকে কালিম্পং গেলে খরচ হবে 250 থেকে 300 টাকার মতো। কালিম্পং থেকে ছোট গাড়ি নিলে পাঁচশো থেকে ছ'শো টাকায় পৌঁছে যাওয়া যাবে রামধুরা। কালিম্পং থেকে রামধুরা পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় দেড় ঘন্টা।

আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে বেড়িয়ে পড়ুন, ঠিকানা হোক রাজ্যের শেষ সীমানা সাঙ্গসেরে গ্রাম

Last Updated : Aug 28, 2023, 11:05 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.