হায়দরাবাদ: পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ ভাবেন, যৌবন যদি শেষ না-হত ! মানুষের ভাবনা এবার পূরণ হতে চলেছে। ভবিষ্যতে কেউ বুড়ো হবে না, সবাই তরুণ থাকবে ! শুনতে অবাক লাগলেও, বিজ্ঞানীরা অসম্ভবকে সম্ভাব করার দিকে এগোচ্ছেন । সম্প্রতি, হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করেছেন কীভাবে বার্ধক্যকে যৌবনে ফিরিয়ে আনা যায় এবং তাঁরা এই গবেষণায় সফল হয়েছেন (Humans Will Be Able To Grow Young Again)।
তথ্য অনুযায়ী, হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল এবং আমেরিকার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি একসঙ্গে এই গবেষণা করেছে । গবেষণাটি বয়স্ক এবং মায়োপিক ইঁদুরের উপর করা হয়েছিল । যার মধ্যে বিজ্ঞানীরা এই ইঁদুরগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সফল হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে । এই প্রসঙ্গে, গবেষক ডেভিড সিনক্লেয়ার স্পষ্টভাবে জানান, বার্ধক্য একটি বিপরীত প্রক্রিয়া যা বিপরীত হতে পারে। বিজ্ঞানীদের এই গবেষণাকে যদি বিশ্বাস করা হয়, তাহলে হয়তো কিছুদিন পরেও একজন 50 বছর বয়সি একজন 30 বছরের শারীরিক গঠন পেতে পারেন ।
তবে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বৈজ্ঞানিক জার্নালে সেল-এ । প্রকাশিত গবেষণাটির শিরোনাম 'স্তন্যপায়ী বার্ধক্যের কারণ হিসাবে এপিজেনেটিক তথ্যের ক্ষতি ।' ল্যাবে ইঁদুরের উপর পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে শরীরে বয়ঃসন্ধির একটি ব্যাক-আপ কপি রয়েছে ৷ যা কোষ পুনর্জন্ম এবং আবার বার্ধক্য শুরু করতে ট্রিগার হতে পারে ।
আমরা ইতিমধ্যে জানি যে বার্ধক্য হল জিনগত পরিবর্তনের ফল, যার ফলে ডিএনএ দুর্বল হয়ে যায় বা দুর্বল কোষ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরকে খুব দুর্বল করে তোলে । কিন্তু নতুন এই গবেষণা এই সত্যকে ভুল প্রমাণ করে ।
আরও পড়ুন: শীতে হাড় ও জয়েন্টের যত্ন কীভাবে নেবেন জেনে নিন
প্রায় এক বছর ধরে, মানুষের প্রাপ্তবয়স্ক ত্বকের কোষগুলি পুরানো এবং অন্ধ ইঁদুরগুলিতে প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং গবেষণায় দেখা গিয়েছে ইঁদুরের ত্বক তারুণ্য ফিরে পেয়েছে এবং তারা দেখতে সক্ষম হয়েছিল । এই ধরনের মস্তিষ্ক, পেশী এবং কিডনির কোষকেও একইভাবে বয়ঃসন্ধিতে নিয়ে আসা যায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা ।