হায়দরাবাদ: আমরা অনেকেই জানি যে নবরাত্রির উপবাসে লবণ ব্যবহার করা হয় না । খাবারের স্বাদ বাড়াতে সন্ধব লবণ যোগ করা হয় । এটি একেবারে বিশুদ্ধ এবং এর বহু উপকারিতা রয়েছে । একইভাবে কিছু মশলা আছে যা আপনি উপবাসের খাবারে ব্যবহার করতে পারবেন না । কারণ উপবাসের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র দেবীর প্রতি ভক্তি প্রকাশ করাই নয়, সাত্ত্বিক খাদ্যাভ্যাস শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও সাহায্য করে । অতএব যতটা সম্ভব সাধারণ খাবার খাওয়া দরকার । জেনে নিন, উপোসের সময় রান্নায় কোন কোন মশলা ব্যবহার করতে পারেন ।
সন্ধব লবণ: নবরাত্রির সময় সন্ধব লবণ ব্যবহার করা যেতে পারে । প্রসেসিং ছাড়াই তৈরি সন্ধব লবণ উপবাসের খাবারে ভিন্ন স্বাদ যোগ করে ।
জিরে: নবরাত্রির খাবারেও জিরেও ব্যবহার করতে পারেন । গোটা জিরে ছাড়াও এর গুঁড়ো তৈরি করে বিভিন্ন খাবারে যোগ করা যায় ।
লবঙ্গ: শারদীয়া নবরাত্রির সময় আপনার খাবারে গোটা লবঙ্গ বা এর গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন । এটি সাত্ত্বিক (মিষ্টি এবং নোনতা) উভয় খাবারেই ব্যবহার করা যেতে পারে ।
সবুজ এলাচ: সবুজ এলাচও উপোসের খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে । এর ফলে খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায় ।
গোল মরিচ: ফাস্টিং ফুডে লাল লঙ্কা ব্যবহার করা যাবে না তবে গোল মরিচ ব্যবহার করা যেতে পারে । আয়ুর্বেদ অনুসারে গোল মরিচ সহজে খাবার হজম করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এটি খাবেরের স্বাদও বাড়ায় ।
সেলারি: এটি একটি মশলা যা উপবাসের খাবারের স্বাদ বাড়াতে পারে এবং সেলারি হজমের সমস্যা দূর করতেও খুব উপকারী ।
জায়ফল: আপনি নবরাত্রির উপবাসের সময়ও কোনও খাবারে জয়ফল ব্যবহার করতে পারেন । এই মশলা খাবারের স্বাদ ও স্বাস্থ্য বাড়ায় । এছাড়াও, জায়ফল বদহজম থেকে অনিদ্রা উপশম করে ৷ এছাড়া অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী।
দারুচিনি: নবরাত্রির সাত্ত্বিক খাবারেও দারুচিনি ব্যবহার করা যেতে পারে । যা খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বাড়ায় । প্রসঙ্গত, দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। দারুচিনিতে উপস্থিত উপাদান হজমশক্তি বাড়ায় ।
আরও পড়ুন: নবরাত্রির সময় কেন সাত্ত্বিক খাবার খাওয়া হয়, জেনে নিন