ETV Bharat / sukhibhava

Exam Time Diet: পরীক্ষার আগে কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

author img

By

Published : Mar 10, 2023, 9:42 PM IST

পরীক্ষা চলাকালীন বা তার আগে থেকে কী ধরনের খাবার খেলে শরীর ভালো ও পরীক্ষা দেওয়ার উপযোগী থাকে জেনে নিন (Know Which Foods Eat at Exam Time and Before)৷

ETV Bharat
প্রতীকী ছবি

হায়দরাবাদ, 10 মার্চ: পরীক্ষা ৷ শব্দটি শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদের নয় বাবা-মা থেকে শুরু করে তত্ত্বাবধায়কদেরও চাপ ৷ পরীক্ষার সময় সুস্বাস্থ্য বজার রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ (Healthy Diet at Exam Time)৷ যেখানে ঠিকঠাক খাবার অপরিসীম ভূমিকা পালন করে ৷ অনেক ধরনের খাবার গ্যাসট্রাইটিস, পেটে অস্বস্তি ও ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে ৷ কিছু আবার ঘুম ও অলসতা তৈরি করে ৷ অতএব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পরীক্ষার আগে খাবারের ধরন ও পরিমাণ বুঝে তা খাওয়া ৷ পরীক্ষার আগে ও পরীক্ষার সময় কি সঠিক খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে কি ?

এর জন্য আমাদের বুঝতে হবে পরীক্ষার সময় মানবদেহে কী ঘটে ৷ ভালো খাবার পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে ৷ সকালের খাবার অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট একটি অপরিহার্য উপাদান ৷ ব্রেকফাস্ট না-করা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক ৷ কারণ দীর্ঘক্ষণ উপোসের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় ৷ যা জ্ঞান ও মনোযোগকে প্রভাবিত করে ৷ আর পরীক্ষার সময় এটি অপরিহার্য ৷ পরীক্ষার আগে একটি স্বাস্থ্যকর, ভারী তথা ভরপেট ব্রেকফাস্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷

কিছু নির্দিষ্ট খাবার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ও আপনার সন্তানের শক্তির মাত্রা, সাধারণ সুস্থতা বাড়াতে পারে ৷ পরীক্ষার দিন স্বাস্থ্যকর ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, বাদাম, কটেজ চিজ ও দই খাওয়া যেতে পারে ৷ একটি ভালো ব্রেকফাস্ট দুধ, ডিম, মুসলি, জ্যাম-পাঁউরুটি বা কর্নফ্লেক্স থাকতে পারে ৷ ভারতীয়দের জন্য উদ্ভিজ্জ সমৃদ্ধ পোহা, বাদাম-সহ ওটস, কলা, আপেল, ন্যাসপাতি, পেঁপে খাওয়া যেতে পারে ৷ সুজি, ইডলি বা দোসাও দেওয়া যেতে পারে ৷ শুকনো ফল ও বাদাম শক্তির কেন্দ্রীভূত উৎস ৷

দইয়ে শুধুমাত্র প্রোটিনের পরিমাণই বেশি নয়, এটি একটি ভালো প্রোবায়োটিক ৷ যা গ্যাসট্রাইটিস, পেট ফোলা ও অস্বস্তি প্রতিরোধ করে ৷ তবে এই সময় কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলায় ভালো ৷ কারণ এগুলো ঘুমকে প্ররোচিত করে ও গ্যাসট্রাইটিস সৃষ্টি করবে ৷ পুষ্টিবিদরা শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে কমলা, কলা, আপেল, আঙুর ও সবুজ শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন ৷ এখানে কয়েকটি টিপস দেওয়া হল :

  • সবসময় হাইড্রেটেড থাকুন ৷ ডিহাইড্রেশন পেশির ক্লান্তি ও পরীক্ষার কর্মক্ষমতা কমায় ৷
  • ছোট ঘন ঘন খাবারে লেগে থাকুন ৷ যা হজম করা সহজ ৷
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন ৷
  • চিনি ও নুন এড়িয়ে চলুন ৷ কারণ এগুলি আসক্তি, তরল ধারণ ও ওজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে ৷
  • প্রক্রিয়া ও প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন ৷ কারণ পিৎজা, বার্গার, বড়া পাও, সিঙাড়া প্রভৃতি খাবার লোভ সৃষ্টি করে ৷
  • ক্যাফাইন এড়িয়ে চলুন ৷
  • বায়ুযুক্ত পানীয় ও ফলের রস এড়িয়ে চলুন ৷ ফলের রস খাওয়ার চেয়ে টাটকা ফল চিবিয়ে খাওয়া ভালো ৷
  • উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খান যা বদবজম ও পেট ফোলা প্রতিরোধ করে ৷

তাই সর্বদা মনে রাখবেন যা আপনি মুখে রাখেন তা শুধু আপনার স্বাস্থ্য নয়, কেরিয়ারকেও প্রভাবিত করে ৷

আরও পড়ুন : সুস্থ রাখতে হার্ট, বদলান ডায়েট চার্ট

হায়দরাবাদ, 10 মার্চ: পরীক্ষা ৷ শব্দটি শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদের নয় বাবা-মা থেকে শুরু করে তত্ত্বাবধায়কদেরও চাপ ৷ পরীক্ষার সময় সুস্বাস্থ্য বজার রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ (Healthy Diet at Exam Time)৷ যেখানে ঠিকঠাক খাবার অপরিসীম ভূমিকা পালন করে ৷ অনেক ধরনের খাবার গ্যাসট্রাইটিস, পেটে অস্বস্তি ও ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে ৷ কিছু আবার ঘুম ও অলসতা তৈরি করে ৷ অতএব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পরীক্ষার আগে খাবারের ধরন ও পরিমাণ বুঝে তা খাওয়া ৷ পরীক্ষার আগে ও পরীক্ষার সময় কি সঠিক খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে কি ?

এর জন্য আমাদের বুঝতে হবে পরীক্ষার সময় মানবদেহে কী ঘটে ৷ ভালো খাবার পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে ৷ সকালের খাবার অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট একটি অপরিহার্য উপাদান ৷ ব্রেকফাস্ট না-করা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক ৷ কারণ দীর্ঘক্ষণ উপোসের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় ৷ যা জ্ঞান ও মনোযোগকে প্রভাবিত করে ৷ আর পরীক্ষার সময় এটি অপরিহার্য ৷ পরীক্ষার আগে একটি স্বাস্থ্যকর, ভারী তথা ভরপেট ব্রেকফাস্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷

কিছু নির্দিষ্ট খাবার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ও আপনার সন্তানের শক্তির মাত্রা, সাধারণ সুস্থতা বাড়াতে পারে ৷ পরীক্ষার দিন স্বাস্থ্যকর ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, বাদাম, কটেজ চিজ ও দই খাওয়া যেতে পারে ৷ একটি ভালো ব্রেকফাস্ট দুধ, ডিম, মুসলি, জ্যাম-পাঁউরুটি বা কর্নফ্লেক্স থাকতে পারে ৷ ভারতীয়দের জন্য উদ্ভিজ্জ সমৃদ্ধ পোহা, বাদাম-সহ ওটস, কলা, আপেল, ন্যাসপাতি, পেঁপে খাওয়া যেতে পারে ৷ সুজি, ইডলি বা দোসাও দেওয়া যেতে পারে ৷ শুকনো ফল ও বাদাম শক্তির কেন্দ্রীভূত উৎস ৷

দইয়ে শুধুমাত্র প্রোটিনের পরিমাণই বেশি নয়, এটি একটি ভালো প্রোবায়োটিক ৷ যা গ্যাসট্রাইটিস, পেট ফোলা ও অস্বস্তি প্রতিরোধ করে ৷ তবে এই সময় কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলায় ভালো ৷ কারণ এগুলো ঘুমকে প্ররোচিত করে ও গ্যাসট্রাইটিস সৃষ্টি করবে ৷ পুষ্টিবিদরা শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে কমলা, কলা, আপেল, আঙুর ও সবুজ শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন ৷ এখানে কয়েকটি টিপস দেওয়া হল :

  • সবসময় হাইড্রেটেড থাকুন ৷ ডিহাইড্রেশন পেশির ক্লান্তি ও পরীক্ষার কর্মক্ষমতা কমায় ৷
  • ছোট ঘন ঘন খাবারে লেগে থাকুন ৷ যা হজম করা সহজ ৷
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন ৷
  • চিনি ও নুন এড়িয়ে চলুন ৷ কারণ এগুলি আসক্তি, তরল ধারণ ও ওজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে ৷
  • প্রক্রিয়া ও প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন ৷ কারণ পিৎজা, বার্গার, বড়া পাও, সিঙাড়া প্রভৃতি খাবার লোভ সৃষ্টি করে ৷
  • ক্যাফাইন এড়িয়ে চলুন ৷
  • বায়ুযুক্ত পানীয় ও ফলের রস এড়িয়ে চলুন ৷ ফলের রস খাওয়ার চেয়ে টাটকা ফল চিবিয়ে খাওয়া ভালো ৷
  • উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খান যা বদবজম ও পেট ফোলা প্রতিরোধ করে ৷

তাই সর্বদা মনে রাখবেন যা আপনি মুখে রাখেন তা শুধু আপনার স্বাস্থ্য নয়, কেরিয়ারকেও প্রভাবিত করে ৷

আরও পড়ুন : সুস্থ রাখতে হার্ট, বদলান ডায়েট চার্ট

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.