হায়দরাবাদ: স্থূলতা একটি সমস্যা যা অন্যান্য রোগের দিকে পরিচালিত করে । ডায়েট, নিষ্ক্রিয়তা, পরিবেশগত কারণ, জেনেটিক্স এবং অন্যান্য কারণ এর জন্য দায়ী । যাইহোক, পেটের চর্বির সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল দুর্বল পুষ্টি । তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে হবে (Weight Loss Diet)।
পুষ্টিবিদদের মতে, "ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতির প্রয়োজন, যার মধ্যে খাদ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে । তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যায়াম এবং একটি নির্দিষ্ট খাদ্যের মাধ্যমে পেটের চর্বি কমানো এবং কিছু সাধারণ পানীয় রয়েছে যেগুলি খুবই উপকারী ।" নিচে তার একটি বর্ণনা দেওয়া হল ৷
গাজরের রস (Carrot Juice): আপনি কি জানেন যে শীতের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত সবজি ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে ? গাজর এই সবজিগুলির একটি । এতে রয়েছে পুষ্টি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা প্রতিদিনের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে । এই কম-ক্যালোরি মূল শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং হজমে সাহায্য করে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
বাঁধাকপির রস (Cabbage Juice): এই জুস পান করলে পেট ফোলা এবং বদহজমের মতো অনেক পেটের সমস্যা নিরাময় হয় । এটি পাচনতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং বর্জ্য পণ্য নির্মূল করতে সাহায্য করে । এতে চাট মসলা বা লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন ।
বিট রস (Beet root Juice): বিট ক্যালোরিতে খুব কম এবং প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ । এটি খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে । অন্যান্য শাকসবজি এবং ফল যেমন গাজর এবং আপেলও বিটরুটের রসের সঙ্গে মেশানো যেতে পারে ।
পালং শাক জুস (Spinach Juice): পালং শাকের জুস ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বেশ সহায়ক । অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ফাইবার রয়েছে, যা ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে ।
লাউ জুস (Bottle Gourd): অ্যালোভেরা একটি স্বাস্থ্য-উন্নয়নকারী ভেষজ । ওজন কমাতে লাউয়ের রস খুবই কার্যকরী । এতে ফাইবার বেশি এবং ক্যালোরি কম। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন ।
আরও পড়ুন: শুধু হজমের সমস্যাই নয়, জোয়ানের কাছে্ কাবু এই সব রোগও
(উপরের সমস্ত তথ্য সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে । যেকোনও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ সবসময়ই অপরিহার্য ৷)