হায়দরাবদ: আজকাল ক্রমবর্ধমান কাজের চাপ কেবল আমাদের স্বাস্থ্যকেই প্রভাবিত করছে না, এর ফলে আমাদের ত্বকও অনেক বেশি প্রভাবিত হতে শুরু করেছে । এমতাবস্থায় ত্বক সংক্রান্ত নানা সমস্যা মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । আজকাল সকলেই অকাল ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন । ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপ, দূষণ, দুর্বল জীবনযাপন এবং খাবারের প্রতি ক্রমবর্ধমান অযত্নে মানুষ বয়সের আগেই বলিরেখার শিকার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনিও যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু ব্যবস্থার কথা বলব, যার সাহায্যে আপনি সহজেই অসময়ের বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হবেন (Skin Care)।
বিউলির ডাল ও দই: মুখের বলিরেখা যদি আপনার সৌন্দর্য কেড়ে নেয়, তাহলে তা থেকে মুক্তি পেতে বিউলির ডাল ও দইয়ের ফেস মাস্ক লাগাতে পারেন । এর জন্য এক চামচ টক দইয়ে এক চামচ উরদ ডালের গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন । এবার এই তৈরি পেস্টটি মুখে লাগিয়ে শুকাতে দিন । ভালো করে শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
ডিমের কুসুম এবং স্কিমড মিল্ক পাউডার: মুখের বলিরেখা দূর করতে ডিমের কুসুম এবং স্কিমড মিল্ক পাউডার ব্যবহার করতে পারেন । এটি করতে, একটি পাত্রে এক চা চামচ স্কিমড মিল্ক পাউডার, একটি ডিমের সাদা কুসুম এবং আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন । এবার মুখে লাগিয়ে 15 মিনিট রেখে তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো, কমলা এবং পেঁপে: টমেটো, কমলা এবং পেঁপে অসময়ের বলিরেখা দূর করতেও উপকারী । এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করতে একটি পাত্রে একটি টমেটো এবং একটি কমলার পাল্পে দুই চামচ পাকা পেঁপের পাল্প মিশিয়ে নিন । এবার এই পেস্টে এক চামচ গোলাপ জল এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখে লাগান । 20 মিনিট পর পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।
ডিমের কুসুম এবং টমেটো: আপনি শুধুমাত্র ডিমের কুসুম এবং টমেটোর সাহায্যে মুখের বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে পারেন । এর জন্য এক চামচ ডিমের কুসুমে টমেটো ও দুই ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন । এবার এই তিনটি জিনিস ভালো করে ফেটিয়ে মুখে লাগান এবং পরে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন ।
বেসন এবং হলুদ: অকালে বলিরেখা দূর করতে বেসন ও হলুদ ব্যবহার করতে পারেন । একটি পাত্রে এক চামচ বেসন, 2 চিমটি হলুদ এবং 5-6 ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন । এবার মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে 20 মিনিট এভাবে রেখে দিন । এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।
আরও পড়ুন: উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান ? তাহলে প্রতিদিন এই জিনিসগুলি খান
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)