হায়দরাবাদ: বর্ষাকালে মশার উপদ্রব বেশি হয় । এই মশা থেকে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয় ৷ বিশেষ করে রান্নার হেঁশেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় রান্নাঘরের পরিবেশ ভ্যাপসা হয়ে যায় । ফলে সময়ে মশা-মাছির উপদ্রবও খুব বেড়ে যায় । এদের থেকে মুক্তি পেতে কিছু গাছের সাহায্য নিয়ে মশার উপদ্রব এড়ান ৷ জেনে নিন, কী করবেন ৷
নিম: এর অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য শুধু পোকামাকড়ই নয় মশাকেও দূরে রাখে । নিমের ডালগুলি বনসাই আকারে বাড়ির প্রাঙ্গণে বা বারান্দায় রাখা যায়। বেশির ভাগ তিক্ত গন্ধই মশা তাড়াতে সাহায্য করে। আমরা ঘখন ঘরে ধূপ জ্বালাই তখন 2-3টি শুকনো নিম পাতা জালিয়ে ধূপের মত রাখতে পারেন । তবে এটি অতিমাত্রায় দেবেন না ৷ কারণ এর ফলে শ্বাসকষ্টের রোগীদের সমস্যা বাড়তে পারে ৷
লেমন গ্রাস: লেমন গ্রাস মশা তাড়ানোর ক্ষেত্রে খুব কার্যকরী। এর তেল মশার পাশাপাশি বিভিন্ন পোকামাকড় তাড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয় । আপনার বাড়িতে এই গাছ রাখতে পারেন ৷ খুব বেশি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না । অথবা এই তেল নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে হাতে-পায়ে লাগাতে পারেন ৷ এতে মশা কামড়ানোর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে ৷
রোজমেরি: বাড়িতে এই গাছগুলি লাগিয়ে আপনি মশা এড়াতে পারেন । এর কড়া সুবাসে মশার উপদ্রব কম হয় ৷
তুলসি: হিন্দু শাস্ত্রমতে তুলসি ভীষণই পবিত্র একটি গাছ ৷ তুলসি পাতার গন্ধ মশাদের আকর্ষণ করে না। তাই বাগানে বা বাড়িতে এই গাছ রাখুন। তুলসি পাতা জলে সিদ্ধ করে সারা ঘরে স্প্রে করতে পারেন ৷ এতে মশার উপদ্রব কমে ৷
ক্যাটনিপ: এটি দেখতে পুদিনার মত । এটি মশা, অন্যান্য পোকামাকড় কিংবা মাকড়সা ঘরে প্রবেশ করতে দেয় না ৷
ল্যাভেন্ডার: এটি মশা নিরোধক হিসেবেও পরিচিত। এই গাছ চার ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় । বাড়িতে বা বারান্দায় যেখানেই এটি রাখা হোক না কেন, এটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ৷
আরও পড়ুন: ওজন থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, মাটির তলার সবজিতেই মুশকিল আসান