হায়দরাবাদ: ব্যস্ত জীবন, ব্যস্ত সময়সূচি, স্ক্রিন টাইম বৃদ্ধি (ল্যাপটপ/ফোনে ব্যবহার) এবং ঘুমের অভাবের কারণে ক্লান্তি একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে । এই সমস্যাটি এখন বেশিরভাগ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করছে । বিশেষ করে আজকাল কোনও কাজ না-করেই বা সামান্য কাজ করার পর ক্লান্তিবোধ করা যেন সাধারণ ব্যাপার । এটি প্রতিরোধ করতে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন প্রয়োজন ৷ জেনে নিন, খাদ্যাভাসে কী কী পরিবর্তন দরকার সুস্থ জীবনের জন্য (These Food Help Your Nutrition)?
পুষ্টিবিদদের মতে, যখন আমরা বেশি ক্লান্তবোধ করি, আমাদের শরীর ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ে তখন আমাদের খাদ্য পরিবর্তন করতে হবে । এটি প্রোটিন, ভিটামিনের অভাব বা সঠিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ না-করার কারণে হতে পারে । তাই খাবারে কী কী উপাদান যোগ করতে হবে তা নীচে বর্ণনা করা হল ।
পালং শাক: বিশেষজ্ঞদের মতে, পালং শাক ভিটামিন-বি এবং আয়রনে সমৃদ্ধ । এটি শক্তিতে পরিপূর্ণ ৷ যা ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে । এই গাঢ় সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে পুষ্টিগুণ যা শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে । এতে থাকা আয়রন শরীরের কোষগুলিকে অক্সিজেন বহনে সাহায্য করে । শরীরে আয়রনের কম মাত্রা ক্লান্তির জন্য দায়ী হতে পারে । তাই অবিলম্বে আপনার খাদ্যতালিকায় পালং শাক অন্তর্ভুক্ত করুন ।
কলা: কলা পটাশিয়ামের চমৎকার উৎস । শক্তির মাত্রা বাড়ায়, মাত্র একটি কলা খেলে দীর্ঘক্ষণ ব্যায়াম করার শক্তি পাওয়া যায় । ব্যায়ামের আগে কলা খাওয়া উপকারী ।
ডিম: ডিম প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। ডিম শরীরে একটানা শক্তি জোগাতে সাহায্য করে । ডিমের অমলেট খেতে পারেন ।
মটরশুটি: এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে । মটরশুটি হজম হতে বেশি সময় নেয় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য শক্তি জোগায়।
খেজুর: তাত্ক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য খেজুর খান । এটি পুষ্টির ভাণ্ডার । এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং আয়রন ।
বাদাম: বাদাম প্রোটিন এবং ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস, যা শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে । এটি সারা দিন শক্তি সরবরাহ করে । আপনাকে দুর্বল বোধ করে না ।
তরমুজ: গরমের দিনে শরীরে জলের মাত্রা ঠিক রাখতে তরমুজ একটি ভালো উপাদান । তরমুজে 90% জল রয়েছে, যা ডি-হাইড্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং শক্তি সরবরাহ করে ।
চিয়া বীজ: এই ক্ষুদ্র বীজ শরীরের গ্লুকোজ হোমিওস্ট্যাসিস বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে । চিয়া বীজে উপস্থিত ফাইবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
আরও পড়ুন: সাবধান ! ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে
(উপরের সমস্ত বিবরণ শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে । যেকোনও স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি) ।