হায়দরাবাদ: তেঁতুলের নাম শুনলেই আমাদের শৈশবের স্মৃতি ফিরে আসে । শৈশবে আমরা সবাই মিষ্টি এবং টক তেঁতুলের স্বাদ পেয়েছি । তেঁতুলের মিষ্টি হোক বা তেঁতুলের চাটনি, এর স্বাদ এখনও আমাদের শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যায় । এর স্বাদের কারণে এটি ভারতীয় রান্নাঘরে অনেক খাবার তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় ৷ শুধু তাই নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী ।
ওজন কমানোর পাশাপাশি এটি হজমশক্তির উন্নতিতেও বেশ সহায়ক । আপনিও যদি এর স্বাদ এবং বৈশিষ্ট্যের কারণে এটিকে আপনার ডায়েটের অংশ করতে চান তবে আপনি এই পাঁচটি উপায়ে আপনার ডায়েটে তেঁতুলকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন ।
তেঁতুলের শরবত: আপনি যদি আপনার ডায়েটে তেঁতুল অন্তর্ভুক্ত করতে চান, তাহলে তেঁতুলের শরবত একটি দুর্দান্ত বিকল্প । এই মিষ্টি, টক এবং মশলাদার শরবত স্বাদ বাড়ায় এবং আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারও দেয় ।
তেঁতুলের সবজি: তেঁতুলকে সবজি হিসেবে আপনার খাদ্যের অংশ করে নিতে পারেন। এই তেঁতুলের সবজিটি আম্বাল নামেও পরিচিত। এটি কুমড়ো, তেঁতুল, গুড় এবং অনেক মশলা মিশিয়ে তৈরি করা হয় । ডাল-ভাত, রাজমা-ভাত বা রুটি-পরোটা ও পুরি দিয়ে খেতে পারেন ।
তেঁতুলের চাটনি: আপনার খাদ্যতালিকায় তেঁতুল অন্তর্ভুক্ত করার সর্বোত্তম উপায় হল এর চাটনি । তেঁতুলের মিষ্টি-টক এবং মশলাদার চাটনি আপনার খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ করে । দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষ নানাভাবে তা তৈরি করে খায় । তেঁতুলের উপকারিতা পেতে এর চাটনি ভাত বা রুটির সঙ্গে খেতে পারেন ।
তেঁতুল রাইস: আপনি যদি কম পরিশ্রম এবং সময় দিয়ে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর কিছু বানাতে চান তবে তেঁতুলের রাইস একটি দুর্দান্ত বিকল্প । এটি তৈরি করা যেমন সহজ, স্বাদেও তেমনই সুস্বাদু । এছাড়া এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী ।
তেঁতুল ডাল: আপনি সাম্বার আকারে আপনার খাদ্যতালিকায় তেঁতুলও যোগ করতে পারেন । অড়হর ডাল, তেঁতুলের ডাল, সাম্বার মশলা, কারিপাতা এবং প্রচুর সবজি দিয়ে তৈরি এই খাবারটি আপনার খাবারের স্বাদ বাড়ায় এবং আপনার স্বাস্থ্য ভালো করে । এটি দক্ষিণ ভারতের একটি জনপ্রিয় খাবারও বটে ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)