হায়দরাবাদ: চৈত্র মাসেই টের পাওয়া যাচ্ছে রোদের কাঠ ফাটানো ঝলকানি ৷ তার মধ্যে ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে ৷ গরমের সময়ে এমনিতেই তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি থেকে 45 ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশ কয়েকটি জায়গায় ৷ কোনও কোনও জায়গায় তাপমাত্রা এর থেকেও বেশি থাকে ৷ তার উপর তাপপ্রাবাহ ৷
তাপপ্রবাহের জেরে শরীরে জলশূন্যতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায় ৷ কবির ভাষায় দারুণ অগ্নি বানে রে, হৃদয় তৃষায় হানে রে.... চাঁদি ফাটা রোদের তাপে ওষ্ঠাগত প্রাণ ৷ সারাক্ষণ জল তেষ্টা পায় ৷ জল হলেই হল ৷ এই তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে বেশি করে জল খাওয়া, পাশপাশি সুতির ঢিলে-ঢালা জামা কাপড় পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ সেইসঙ্গে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ৷ বিশেষত এই মরশুমের জন্য নারকেল বা ডাবের জল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ৷
এই গরমেও কীভাবে হাইড্রেটেড থাকবেন ?
ইলেক্ট্রোলাইটস: নারকেল বা ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম থাকে ৷ যা শরীরের খনিজ ভিটামিন পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখে ৷ জলের সাম্যতা রক্ষা করে ৷
হাইড্রেশন: ডাবের জল প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখে ৷ গ্রীষ্মকালে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হওয়ায় শরীরে জল ও লবণের ভাগ কমে যায় ৷ কিন্তু ডাবের জল খেলে এই ভারসাম্যতা বজায় থাকে ৷ প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর হাইড্রেটেড হয় ৷
শরীরকে ঠান্ডা রাখে: নারকেলের জলে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ৷ পাশাপাশি মানসিক অস্থিরতা দূর করে ৷
পুষ্টি উপাদান: নারকেলে বা ডাবের জলে ক্যালসিয়ামও থাকে প্রচুর পরিমাণে ৷ আয়রন, ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ৷ সেই সঙ্গে শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে । গরম কালের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং শরীরে তাপমাত্রা ধরে রাখে ডাবের জল অত্যন্ত উপকারী পানীয় ৷
কম ক্যালোরি: নারকেল বা ডাবের জলে কম-ক্যালোরিযুক্ত পানীয় ৷ এটি বাজার চলতি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত পানীয়ের থেকে বেশি উপকারী ৷ বলা যায় এটি প্রকতির থেকে উৎপাদিত ঠান্ডা পানীয় ৷ যা শরীরে কোনওরকম ক্ষতি করে না ৷ এটি ফ্যাট ফ্রি পানীয় ৷
আরও পড়ুন: প্রতিদিন আপেলের জুস পানে মিলবে বহু উপকার
সামগ্রিকভাবে, নারকেল বা ডাবের জল অন্যান্য পানীয়ের থেকে বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ৷ গ্রীষ্মে শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি শরীরের পুষ্টির জোগান দেয় ৷ নিয়মিত ডাবের জল পান করলে সহজে শরীর ক্লান্ত হয় না ৷ এটি ত্বকের আদ্রর্তা ধরে রাখে ৷ ডাবের যেমন সরাসরি পান করা যায় সেইরকমই এটিকে স্মুদি বা মোজিটোসের মতো ককটেলের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায় ৷ শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং তাপপ্রবাহ জনিত অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে ডাবের ডলের জুড়ি মেলা ভার ৷