ETV Bharat / sukhibhava

Eating Disorders During COVID : করোনাকালে বাড়তে থাকা খাদ্য়গ্রহণের বিশৃঙ্খলা পরিণত হতে পারে দীর্ঘমেয়াদী রোগে - widespread increases in all eating disorder symptoms

করোনাকালে অনেক বেড়ে গিয়েছে খাদ্য়গ্রহণের বিশৃঙ্খলা (Eating disorders increase during pandemic) ৷ পরবর্তীক্ষেত্রে তা হয়ে দাঁড়াতে পারে মারাত্মক সমস্য়ার কারণ, এমনটাই বলছে গবেষণা ৷

Eating Disorders During COVID
করোনাকালে বাড়তে থাকা খাদ্য়গ্রহণের বিশৃঙ্খলা পরিনত হতে পারে দীর্ঘমেয়াদী রোগে
author img

By

Published : Jan 29, 2022, 3:49 PM IST

করোনার প্রথম তরঙ্গে জুলাই 2020 থেকে অক্টোবর 2020 পর্যন্ত প্রায় 1723 জন মানুষের সঙ্গে কথা বলে গবেষকরা দেখেছেন কিভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে খাদ্য়গ্রহণের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে ৷ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় লকডাউন চলাকালীন এই বিস্তৃত সমীক্ষাটি চালান বিশেষজ্ঞরা ৷ এটি এবিষয়ে করা সবচেয়ে বড় সমীক্ষাগুলির অন্যতম ৷ তথ্য বলছে খাদ্য়গ্রহণের বিশৃঙ্খলা এসময় ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে গিয়েছে (widespread increases in all eating disorder symptoms) ৷

বিশেষত 84 শতাংশ মানুষের মধ্যে দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত শরীর সচেতনতা, 74 শতাংশ মানুষের মধ্যে দেখা গিয়েছে সীমিত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা এবং 66 শতাংশ মানুষের মধ্যে দেখা গিয়েছে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা ৷ খাদ্যগ্রহণের বিশৃঙ্খলার জেরে যাঁদের চিকিৎসা রীতিমত জরুরি হয়ে উঠেছে, তথ্য বলছে তাঁদের মধ্যেও 40 শতাংশ মানুষ চিকিৎসা তো দূরের কথা, ডাক্তারও দেখাননি ৷ এই গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল খাদ্য়গ্রহণের বিশৃঙ্খলার জেরে যাঁদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রবল ক্ষতি হচ্ছে তাঁদের সহায়তা করা, কারণ এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রয়েছে ৷ অনলাইন এই সমীক্ষা দেখায় কোভিডকালে তথা লকডাউন চলাকালীন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে খাদ্যগ্রহণের বিশৃঙ্খলা ৷ এর প্রধান কয়েকটি কারণ হল মানসিক উদ্বেগ, একাকিত্ব, হতাশা এবং মানসিক চাপ ৷

একইসঙ্গে গবেষকরা এও দেখেছেন চিকিৎসার হার অত্যন্ত কম ৷ গবেষণায় অংশ নেওয়া প্রায় 96 শতাংশ মানুষের শরীরেই খাদ্যগ্রহণের বিশৃঙ্খলার জেরে নানা রোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছে ৷ কিন্তু তাঁদের মধ্যে মাত্র অর্ধেক মানুষই চিকিৎসকের সাহায্য নিয়েছেন, প্রায় 40 শতাংশ মানুষ সঠিকভাবে কোনও চিকিৎসাই করাননি ৷ আবার অনেকে মনেই করেননি তাঁর এর জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন ৷ প্রধান গবেষক ডঃ জেন মিসকোভিক-হুইটলি বলেন, "আমরা দেখেছি খাদ্যগ্রহণের বিশৃঙ্খলার জেরে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বেড়ে গিয়েছে ৷ দৈনিক রুটিনের পরিবর্তন, লোকজনকে সাহায্য করার অসুবিধা, চিকিৎসার ক্ষেত্রে পরিবর্তন, সংবাদ কভারেজ এবং স্যোশাল মিডিয়ার ব্যাপ্তি এধরণের কারণগুলিই সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে ৷’’ তিনি আরও বলেন, "এমনকি অনেক রোগীর মধ্য়ে নতুন নতুন উপসর্গও দেখা দিচ্ছে, যা আগে দেখা যেত না ৷ যে সমস্ত রোগীদের ওপর খুবই খারাপ প্রভাব পড়েছে এই খাদ্যগ্রহণের বিশৃঙ্খলার এবং যাঁরা কোনও চিকিৎসার আশ্রয় নেননি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাঁরা হয় অবসাদগ্রস্ত নয়তো একাকিত্বে ভুগছেন ৷ "

আরও পড়ুন : শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে উপসর্গ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে মাস্ক, বলছে গবেষণা

প্রথম তরঙ্গে লকডাউনের সূচনাপর্ব, মধ্যভাগ এবং অন্তিম পর্যায় সমস্তটাই নিরিক্ষণ করেছেন গবেষকরা ৷ তাতে দেখা গিয়েছে, এর প্রভাব ক্রমশ বেড়েই চলেছে ৷ ইনসাইড আউটের মনরোগবিদ রেচেল সিমন জানান, খাদ্য়গ্রহণের বিশৃঙ্খলা যেভাবে রোগে পরিণত হয়েছে, তা থেকে সেরে উঠতে বেশ অনেকখানি সময় লাগবে ৷ এমন ভাবা ভুল হবে যে, দ্রুত এর হাত থেকে মুক্তি মিলবে ৷

করোনার প্রথম তরঙ্গে জুলাই 2020 থেকে অক্টোবর 2020 পর্যন্ত প্রায় 1723 জন মানুষের সঙ্গে কথা বলে গবেষকরা দেখেছেন কিভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে খাদ্য়গ্রহণের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে ৷ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় লকডাউন চলাকালীন এই বিস্তৃত সমীক্ষাটি চালান বিশেষজ্ঞরা ৷ এটি এবিষয়ে করা সবচেয়ে বড় সমীক্ষাগুলির অন্যতম ৷ তথ্য বলছে খাদ্য়গ্রহণের বিশৃঙ্খলা এসময় ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে গিয়েছে (widespread increases in all eating disorder symptoms) ৷

বিশেষত 84 শতাংশ মানুষের মধ্যে দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত শরীর সচেতনতা, 74 শতাংশ মানুষের মধ্যে দেখা গিয়েছে সীমিত খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা এবং 66 শতাংশ মানুষের মধ্যে দেখা গিয়েছে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা ৷ খাদ্যগ্রহণের বিশৃঙ্খলার জেরে যাঁদের চিকিৎসা রীতিমত জরুরি হয়ে উঠেছে, তথ্য বলছে তাঁদের মধ্যেও 40 শতাংশ মানুষ চিকিৎসা তো দূরের কথা, ডাক্তারও দেখাননি ৷ এই গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল খাদ্য়গ্রহণের বিশৃঙ্খলার জেরে যাঁদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রবল ক্ষতি হচ্ছে তাঁদের সহায়তা করা, কারণ এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রয়েছে ৷ অনলাইন এই সমীক্ষা দেখায় কোভিডকালে তথা লকডাউন চলাকালীন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে খাদ্যগ্রহণের বিশৃঙ্খলা ৷ এর প্রধান কয়েকটি কারণ হল মানসিক উদ্বেগ, একাকিত্ব, হতাশা এবং মানসিক চাপ ৷

একইসঙ্গে গবেষকরা এও দেখেছেন চিকিৎসার হার অত্যন্ত কম ৷ গবেষণায় অংশ নেওয়া প্রায় 96 শতাংশ মানুষের শরীরেই খাদ্যগ্রহণের বিশৃঙ্খলার জেরে নানা রোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছে ৷ কিন্তু তাঁদের মধ্যে মাত্র অর্ধেক মানুষই চিকিৎসকের সাহায্য নিয়েছেন, প্রায় 40 শতাংশ মানুষ সঠিকভাবে কোনও চিকিৎসাই করাননি ৷ আবার অনেকে মনেই করেননি তাঁর এর জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন ৷ প্রধান গবেষক ডঃ জেন মিসকোভিক-হুইটলি বলেন, "আমরা দেখেছি খাদ্যগ্রহণের বিশৃঙ্খলার জেরে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বেড়ে গিয়েছে ৷ দৈনিক রুটিনের পরিবর্তন, লোকজনকে সাহায্য করার অসুবিধা, চিকিৎসার ক্ষেত্রে পরিবর্তন, সংবাদ কভারেজ এবং স্যোশাল মিডিয়ার ব্যাপ্তি এধরণের কারণগুলিই সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে ৷’’ তিনি আরও বলেন, "এমনকি অনেক রোগীর মধ্য়ে নতুন নতুন উপসর্গও দেখা দিচ্ছে, যা আগে দেখা যেত না ৷ যে সমস্ত রোগীদের ওপর খুবই খারাপ প্রভাব পড়েছে এই খাদ্যগ্রহণের বিশৃঙ্খলার এবং যাঁরা কোনও চিকিৎসার আশ্রয় নেননি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাঁরা হয় অবসাদগ্রস্ত নয়তো একাকিত্বে ভুগছেন ৷ "

আরও পড়ুন : শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে উপসর্গ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে মাস্ক, বলছে গবেষণা

প্রথম তরঙ্গে লকডাউনের সূচনাপর্ব, মধ্যভাগ এবং অন্তিম পর্যায় সমস্তটাই নিরিক্ষণ করেছেন গবেষকরা ৷ তাতে দেখা গিয়েছে, এর প্রভাব ক্রমশ বেড়েই চলেছে ৷ ইনসাইড আউটের মনরোগবিদ রেচেল সিমন জানান, খাদ্য়গ্রহণের বিশৃঙ্খলা যেভাবে রোগে পরিণত হয়েছে, তা থেকে সেরে উঠতে বেশ অনেকখানি সময় লাগবে ৷ এমন ভাবা ভুল হবে যে, দ্রুত এর হাত থেকে মুক্তি মিলবে ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.