হায়দরাবাদ: প্রাচীনকাল থেকে নিমের গুণাগুণ সম্পর্কে সকলেই জানেন ৷ ত্বকের যত্নে নিমের ব্যবহার কার্যকারিতা বলে শেষ করা যায় না ৷ নিম পাতাকে ত্বকের যত্নে যেভাবে খুশি ব্যবহার করুন, ফল পাবেন হাতেনাতে ৷ তবে অনান্য ঋতুর তুলনায় বর্ষাতে চুল ও ত্বকের ফাংগাল জাতীয় নানান সমস্যা দেখা দেয় ৷ বর্ষার মরশুমে আরও বেশি বেড়ে যায় এই সমস্যা ৷ ত্বক হারায় উজ্জ্বলভাব ৷ বাড়ে ব্রণ-র সমস্যা ৷ এমনকী ত্বকে চুলকানির সমস্যাও দেখা দেয় ৷ এই সমস্যা থেকে বাঁচার উপায় হিসাবে হাতে তুলে নিন নিম পাতা ৷ আর দেখুন নিমেষে কেমন কাজ করে ৷
নিম পেস্ট:
চটজলদি ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিম পেস্ট খুব উপকারী ৷ 10-12টা নিমের পাতা বেটে মিহি করে নিন ৷ তাতে একটু গোলাপ জল চাইলে মেশাতে পারেন ৷ অথবা একটু নরমাল জল মিশিয়ে সারা মুখে মেখে নিন ৷ রেখে দিন 15-20 মিনিট ৷ তারপর ধুয়ে নিন ৷ পার্থক্য বুঝতে পারবেন কয়েকদিনেই ৷ তবে যদি আপনার নিম পাতা থেকে কোনও রকম চুলকানি শুরু হয়, তৎক্ষনাৎ ধুয়ে ফেলবেন ৷ পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন ৷
নিম পাউডার:
নিম পেস্ট ছাড়াও নিম পাতা গুড়ো করে পাউডার হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন ৷ নিম পাউডারে অল্প পরিমাণ জল মিশান ৷ তাতে দিন এক চামচ লেবুর রস ও কাঁচা হলুদের রস ৷ ভালো করে সেটি পেস্ট করে মুখের চারপাশে লাগিয়ে নিন ৷ এরপর তা রেখে দিন 15-20 মিনিট ৷ কয়েকদিনের তফাতেই বুঝতে পারবেন মুখের ন্যাচরাল গ্লো কাকে বলে ! তবে যদি আপনার শুষ্ক ত্বক হয়, তাহলে এই পেস্টের সঙ্গে মেশান এক চা চামচ নারকেল তেল ৷ তৈলাক্ত ত্বক হলে পেস্টে মেশান একটু গোলাপ জল ও এক চা চামচ লেবুর রস ৷
বর্ষার মরশুমে নিম পাতা কেন আরও বেশি ব্যবহার করবেন...
এই সময়ে বৃষ্টিতে ভিজে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয় ৷ ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু বর্ষায় বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে ৷ তাই ব্রণ,ফুসকরির পাশাপাশি ত্বকে ব়্যাশের সমস্যাও দেখা দেয় ৷ তাই প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্নে নিম পাতা অবশ্যই রাখা দরকার ৷
নিমপাতায় রয়েছে অ্যান্টিব্যেকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমাটরি গুণ, যা ত্বকের ইচিং বা চুলকানি কমায় ৷
যদি অ্যাকনে বা ব্রণ-র সমস্যা থাকে তাহলে ভেষজ এই পাতা আপনার সেই সমস্যা চিরতরে দূর করবে ৷
নিম পাতার অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস গুণ মুখের কালো দাগ, পিগমেন্টেশন দূর করে ৷
এমনকী, ত্বকের সাধারণ সংক্রমণও দূর হয় নিম পাতার ব্যবহারে ৷
নিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন 'ই' ও ফ্যাটি অ্যাসিড ৷ যা ত্বকের বয়সজনিত ছাপ পড়া রোধ করে ৷
আরও পড়ুন: বুদ্ধি করে কীভাবে শিশুদের জাঙ্কফুড থেকে বিরত রাখবেন ? রইল টিপস
(Disclaimer: উপরিউক্ত পরামর্শ তথ্যের উপর নির্ভর করে লেখা ৷ বিস্তারিত জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন)