হায়দরাবাদ: নবরাত্রিতে দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পূজা করা হয় (Durga Puja 2022)। এই বছরের নবরাত্রি 26 সেপ্টেম্বর, 2022 থেকে শুরু হয়েছে এবং 4 অক্টোবর শেষ হবে (Shardiya Navratri 2022) ৷ এটা বিশ্বাস করা হয় যে মা দুর্গার নয়টি রূপ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তিনি সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করে । নবরাত্রির এই 9 দিনে দেবীর 9টি রূপের পূজা করা হয় (Navratri 2022) ৷
শাস্ত্রে দেবীর এই 9টি রূপ বর্ণনা করা হয়েছে: 1. শৈলপুত্রী, 2. ব্রহ্মচারিণী, 3. চন্দ্রঘন্টা, 4. কুষ্মাণ্ডা, 5. স্কন্দমাতা, 6. কাত্যায়নী, 7. কালরাত্রি, 8. মহাগৌরী, 9. সিদ্ধিদাত্রী । কথিত আছে, কেউ নবরাত্রিতে মায়ের এই নয়টি রূপের বর্ণনা ও কাহিনী শ্রবণ করেন বা পাঠ করেন, মা তার প্রতি প্রসন্ন হন এবং বিশেষ কৃপা করেন (Shardiya Navratri 2022)।
কুষ্মাণ্ডা মা কে ? (Who is Kushmanda )?
নবদুর্গার চতুর্থ রূপ কুষ্মাণ্ডা । নবরাত্রি উৎসবের চতুর্থ দিনে এই দেবীর পূজা করা হয় (Navratri 2022 Day 4) । 'কু' শব্দের অর্থ কুৎসিত এবং 'উষ্মা' শব্দের অর্থ 'তাপ', 'কুষ্মা' শব্দের অর্থ তাই ত্রিতাপ বা দুঃখ–দেবী জগতের দুঃখ গ্রাস করে নিজের উদরে ধারণ করেন, তাই তার নাম 'কুষ্মাণ্ডা'। এটা বিশ্বাস করা হয় যে যখন মহাবিশ্বের অস্তিত্ব ছিল না তখন সর্বত্র অন্ধকার ছিল । তারপর মাতাই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন । তিনি বাঘের উপর অধিষ্ঠাত্রী দেবী আটটি হাতে পদ্ম, ধনুক, তীর, কমন্ডল, চক্র, গদা, জপমালা ধারণ করেন । মায়ের বামহস্তে একটি অমৃতপূর্ণ কলসও রয়েছে ।
কুষ্মাণ্ডা দেবীর রূপ
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, মা কুষ্মাণ্ডা অসুরদের বধ করার জন্য অবতারণা করেছিলেন । কুষ্মাণ্ড মানে পাত্র । মায়ের বাহন হল সিংহ । তিন জগতে যখন অসুরদের আতঙ্ক বেড়ে গিয়েছিল, তখন তাদের শিক্ষা দিতে মা কুষ্মাণ্ডার জন্ম হয়েছিল । স্বামী অচ্যুতানন্দের ভাষায়, "যেমন মহাদেব সমুদ্রমন্থনের সময় সমস্ত হলাহল পান করে নীলকণ্ঠ হয়েছেন, তেমনি জগজ্জননী দুর্গা আদ্যাশক্তি জগতের সর্বপ্রকার জ্বালা-যন্ত্রণার হাত থেকে সন্তানদের সর্বদা রক্ষা করতে করুণায় দ্রবীভূত হয়ে স্বেচ্ছায় সব তাপ নিজের শরীরে গ্রহণ করেন । নবরাত্রির চতুর্থ দিনে সাধক দেবী কুষ্মাণ্ডার পুজো করেন । তার পূজোয় রোগশোক দূরীভূত হয়, ভক্ত আয়ু, যশ, বল ও আরোগ্য লাভ করেন । মনে করা হয়, দেবী কুষ্মাণ্ডা অল্প পুজোতেই সন্তুষ্ট হন । তার পুজোয় কুষ্মাণ্ড (কুমড়ো) বলি দেওয়ার রীতি আছে ।
দেবী কুষ্মাণ্ডার মন্দির কাশীতে রয়েছে ৷ এই মন্দিরের কাছেই কাশীর বিখ্যাত তীর্থ দুর্গাকুণ্ড । এই মন্দিরে হিন্দুধর্মে অবিশ্বাসীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ।কাশীতে একমাত্র এই মন্দিরেই নিয়মিত বলিদান হয় ৷ নবরাত্রির চতুর্থ দিনে এই মন্দিরে ভক্তের ঢল নামে ৷
অনেক ভোরে উঠুন । এরপর স্নান করে সাদা পোষাক পড়ে সূর্যদেবকে জল নিবেদন করে উপবাসের ব্রত নিন । এরপর ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশকে মন্ত্র পড়ুন । এরপর মা কুষ্মাণ্ডাকে ফুল ও মালা দিয়ে জপ করুন ।
আরও পড়ুন: দেবী চন্দ্রঘণ্টাকে নিবেদনের জন্য পুজোর বিধি ও ভোগ