হায়দরাবাদ: ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেরও পরিবর্তন করা দরকার । প্রতিটি ঋতু আমাদের শরীরের উপর আলাদা আলাদা প্রভাব ফেলে এবং আমরা সম্পূর্ণরূপে অভ্যস্ত না-হওয়া পর্যন্ত কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন । বদলে যাওয়া ঋতুতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনও জরুরি। জেনে নিন এমনই কিছু খাবারের কথা যেগুলি পরিবর্তন ঋতুতে খাওয়া উচিত নয় ৷ কারণ এগুলি আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে ।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এসব খাবার এড়িয়ে চলুন
1) মশলাদার খাবার: মশলাদার খাবার ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীর গরম করতে সাহায্য করতে পারে, তবে গরমে সমস্যাও হতে পারে । মশলাদার খাবার খেলে পেটে জ্বালা হতে পারে। তার জেরে অস্বস্তি এবং অম্বলও হতে পারে । এছাড়া মশলাদার খাবার খেলেও শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে ।
2) দুগ্ধজাত পণ্য: দুধ, পনির এবং দইয়ের মতো দুগ্ধজাত দ্রব্য আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে । এই সময় খুব গরম ও শুষ্ক বাতাস বয়ে যায় যার কারণে সাইনাসের সমস্যায় ভোগা মানুষের সমস্যা বাড়তে পারে । এছাড়াও দুগ্ধজাত পণ্য যেমন দুধ, পনির এবং পনির হজম করা কঠিন হতে পারে ৷ যা অস্বস্তি এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে । এই মরশুমে দই ও বাটার মিল্ক ভালো হতে পারে ।
3) ঠান্ডা খাবার : এই দিনগুলিতে তাপমাত্রায় সামান্য উষ্ণতা রয়েছে যার সঙ্গে গরমও শুরু হয়েছে । এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডা জিনিসের জন্য আকুল হওয়া স্বাভাবিক । কিন্তু স্যালাড এবং স্মুদির মতো ঠান্ডা খাবার খাওয়া পরিবর্তিত আবহাওয়ায় পরিপাকতন্ত্রের জন্য কঠিন হতে পারে । ঠান্ডা খাবারের কারণে পাকস্থলী সংকুচিত হতে পারে, যা শরীরের পক্ষে সঠিকভাবে খাবার হজম করা কঠিন করে তোলে । ফলস্বরূপ বদহজম, ফোলা এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা শুরু হয।
4) ক্যাফিন: অতিরিক্ত চা বা কফি গ্রীষ্মের মরশুমে একটি অস্বাস্থ্যকর বিকল্প । অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের কারণে জলশূন্যতার ঝুঁকি থাকে । এছাড়াও, ক্যাফেইন আপনার ঘুমের সঙ্গে হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং এটি আপনার ইমিউন সিস্টেমকেও প্রভাবিত করতে পারে ।
5) প্যাকেটজাত খাবার: প্যাকেটজাত খাবার যেমন চিপস এবং অন্যান্য স্ন্যাকসে প্রায়ই চিনি, লবণ এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে । আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এ ধরনের খাবার থেকে বিশেষ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে । এগুলি শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে । প্রদাহ জয়েন্টে ব্যথা, ক্লান্তি এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা-সহ বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে ।
আরও পড়ুন: আজ বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস, জানেন কেন পালন কর হয় এই দিনটি ?
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)