হায়দরাবাদ: ইন্টারনেট হয়ে উঠেছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো আরেকটি অপরিহার্য প্রয়োজনের জিনিস । এটি আমাদের জীবনের ঐচ্ছিক অংশের মত ৷ এখনকার সময় ইন্টারনেট ছাড়া একটি দিন কাটানো একটি কঠিন কাজ বলে মনে হয় । এমন অনুভূতি হওয়াও স্বাভাবিক, কারণ ইন্টারনেট আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের বেশিরভাগ কঠিন কাজ খুব অল্প সময়েই সম্পাদন করতে পারে (Why is Safer Internet Day Celebrated) ।
এখন এই ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে একটি বিরাট প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । কারণ আজকাল ইন্টারনেট অসামাজিক মানুষে ভরপুর । এদিকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে । ফলে ব্যক্তিগত তথ্য ও গোপনীয়তা সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । ইন্টারনেট কিশোর এবং তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে । এটি মাথায় রেখে, নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার অবশ্যই একটি মূল সমস্যা ।
তাই নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে এই দিবসটি পালিত হয় । তারই সূত্র ধরে আজ (7 ফেব্রুয়ারি) এই দিবসটি পালিত হচ্ছে । নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য ।
একটি গবেষণা অনুসারে, এই বছরের শুরু থেকে বিশ্বব্যাপী প্রায় 516 মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে ৷ যা বিশ্বের জনসংখ্যার 64.4 শতাংশ । একইভাবে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা 476 কোটি, যা বিশ্বের জনসংখ্যার 59.4 শতাংশ । অর্থাৎ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে । এ থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যাপকতা সহজেই অনুমান করা যায় ।
এটি মাথায় রেখে, একটি নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার করা অপরিহার্য । ব্যবহারকারী সচেতন হলে এটি অবশ্যই সম্ভব । ব্যক্তিগত ডেটা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য প্রতিটি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সেটিংস সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত । করোনার পর থেকে শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে । তাই অভিভাবকদের এ দিকে নজর দিতে হবে ।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা আসতেই কি আপনার সন্তান মানসিক চাপের শিকার ? জেনে নিন পরিত্রাণের উপায়
যেহেতু ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনও ধরনের সংবাদ প্রচার করা যেতে পারে তাই শিশুদেরকে সচেতন করা উচিত যে তারা কোনও তথ্য সম্পর্কে সচেতন এবং কোন সংবাদ তাদের জন্য দরকারি । প্রতিটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের উপকারী এবং ক্ষতিকারক উভয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে । সেই অর্থে ইন্টারনেটেরও প্রয়োজন ৷ আমরা যদি এর ভালো দিকটি ব্যবহার করতে পারি তাহলে তা অবশ্যই আমাদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করবে ।