হায়দরাবাদ: বিশ্ব নিরামিষ দিবস প্রতি বছর 1 অক্টোবর সারা বিশ্বে পালিত হয় । এই দিনটি পালনের উদ্দেশ্য হল নিরামিষ খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা । সুস্বাস্থ্যের জন্য সবসময় নিরামিষ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । সাধারণত মানুষ মনে করে যে আমিষ খাবারের তুলনায় নিরামিষ খাবার সুস্বাদু হয় না ।
শরীরে সুস্বাস্থ্যের জন্য সব ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন ৷ এমন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র নিরামিষ খাবারের সাহায্যেই শরীরের সমস্ত ভিটামিনের ঘাটতি দূর করা সম্ভব । তাজা ফল, সবজি এবং গোটা শস্য খাওয়া আপনাকে ফিট রাখবে । জেনে নিন নিরামিষ খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা ।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমাদের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় । এ কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে । নিরামিষ খাবার খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে খুব উপকারী হতে পারে । হার্টকে সুস্থ রাখতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন গোটা শস্য, বাদাম, লেবু ইত্যাদি খেতে পারেন। এগুলি কোলেস্টেরলের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে হার্টকে রক্ষা করে ।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা নিরামিষ খাবার অনুসরণ করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । নিরামিষ খাবারে কম পরিমাণে ফ্যাট এবং সোডিয়াম থাকে যা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে । এছাড়াও নিরামিষ খাবারের অন্তর্ভুক্ত অনেক ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে ।
হাড় সুস্থ রাখে: যারা নিরামিষভোজী তাদের হাড় সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি কম থাকে । আসলে, দুধ, পনির, বাদাম, তোফু, সয়াবিন এবং সবুজ শাকসবজিতে ক্যালসিয়াম বেশি থাকে । যা খেলে হাড় মজবুত হয় ।
ওজন কমাতে সহায়ক: যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে ভেজ ডায়েট মেনে চলা জরুরি । সাধারণ খাবার ওজন ঠিক রাখতে সহায়ক । আমিষ জাতীয় খাবার যেমন চিকেন, মাছ ইত্যাদিতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে । এগুলি খেলে ওজন দ্রুত বাড়ে ।
রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকে: ডায়াবেটিস রোগীদের সবজি ডায়েট মেনে চলতে হবে । সুগার লেভেল স্বাভাবিক রাখতে গোটা শস্য, ডাল ও সবুজ শাকসবজিকে ডায়েটের অংশ করুন । তাদের একটি গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে ।
আরও পড়ুন: হার্টকে সুস্থ রাখতে চান ? আপেলের জুসেই মুশকিল আসান
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)