হায়দরাবাদ: শীতের মরশুমের জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি ভালোমন্দ খাবার খাওয়ার জন্যও । এই মরশুমে অনেক সবজি পাওয়া যায় ৷ যে কারণে এই মরশুমকে সবজির মরশুমও বলা হয় । শীতকালে ছোলার শাক, বাথুয়া, মেথি শাক, সরষের শাক ইত্যাদি খাওয়া হয় । এর মধ্যে একটি হল কুলফা শাক, যার সম্পর্কে মানুষ খুব কমই জানে ৷ তবে এটি শুধু স্বাদেই সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী (It is not only delicious in taste but also very beneficial for health)।
এই সবুজ শাক সাধারণত বাগান, মাঠ এবং রাস্তার ধারে পাওয়া যায় । এই শাকটির বিশেষত্ব হল এর পাতা এবং ডালপালা উভয়ই খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় । ভিটামিন, খনিজ, আয়রন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ৷ সবুজ শাক নিজেই একটি সুপারফুড । আপনি যদি এই শাকটির আশ্চর্যজনক উপকারিতা সম্পর্কে না-জানেন তবে জেনে নিন, এর কিছু উপকারিতা ৷
অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি: শীতের মরশুমে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রায়ই দুর্বল হয়ে পড়ে ৷ যে কারণে অনেক সংক্রমণ ও রোগ আমাদের ঘিরে ধরে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার শীতের খাদ্যতালিকায় কুলফা অন্তর্ভুক্ত করা খুবই উপকারী হবে । কুলফা শাকে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে ।
হার্ট সুস্থ রাখে: কুলফায় উপস্থিত ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে । এভাবে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টকেও সুস্থ রাখা যায় ।
হাড় শক্তিশালী করে: আপনি যদি হাড় ও দাঁতকে সুস্থ ও মজবুত করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় কুলফা অন্তর্ভুক্ত করুন । কুলফা শাক ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টিতে ভরপুর ৷ যা শীতকালে হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে ।
আয়রন সমৃদ্ধ: কুলফা শাক লৌহ সমৃদ্ধ । এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি আয়রনের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে চান, তাহলে শীতকালে আপনার খাদ্যতালিকায় কুলফা শাক অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন ।
ডায়াবেটিসে কার্যকর: কুলফা শাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে । এটি রক্তে গ্লুকোজ এবং চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । এমন পরিস্থিতিতে কুলফা পাতা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ।
চোখের জন্য উপকারী: কুলফা শাক চোখের জন্যও খুব ভালো বলে মনে করা হয় । এতে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)