হায়দরাবাদ: আমরা সবাই জানি যে মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । আসলে মাছে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়াম, আয়রনের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় ৷ যা স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য ৷ কিন্তু যারা আমিষ জাতীয় খাবার খান না, তাদের ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি রয়েছে । অভাব কাটিয়ে উঠতে আপনার খাদ্যতালিকায় মাছের তেল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন ৷ যা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক সমস্যা এড়াতে পারে ।
মাছের টিস্যু থেকে মাছের তেল তৈরি করা হয় । এতে রয়েছে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড যা আপনাকে বহু রোগ থেকে রক্ষা করে । জেনে নিন, এর উপকারিতা সম্পর্কে ।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য মাছের তেল খুবই উপকারী বলে মনে করা হয় । যারা খাবারে মাছের তেল গ্রহণ করেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে । মাছের তেল ভালো কোলেস্টেরল উন্নত করতে পারে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে । তাই আপনার খাবারে মাছের তেল ব্যবহার করুন, যাতে আপনি হৃদরোগ এড়াতে পারেন ।
মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে: ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এটি মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে । যাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো নয় তাদের ওমেগা-3 এর মাত্রা কম থাকে । ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছের তেল মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।
চোখের জন্য উপকারী: চোখ সুস্থ রাখতে মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । এগুলি ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ । শরীরে এই পুষ্টির ঘাটতি চোখের রোগের ঝুঁকি বাড়ায় । চোখ সুস্থ রাখতে মাছের তেল উপকারী হতে পারে ।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী: ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড গর্ভের শিশুর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এটি বিষন্নতা ইত্যাদি উপসর্গ কমাতে পারে । আপনি যদি মা হতে চলেছেন, তবে মাছের তেল আপনার জন্য খুব সহায়ক হতে পারে ।
ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে: মাছের তেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে । এতে উপস্থিত ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধ করে । এটি ফুসফুসকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে ।
জয়েন্টের ব্যথা কমায়: মাছের তেলের সাহায্যে আপনি জয়েন্টের ব্যথা এবং ফোলা থেকে মুক্তি পেতে পারেন ।
আরও পড়ুন: এই টিপসগুলি পিরিয়ডের সময় মুড স্যুইং নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)