হায়দরাবাদ: দই পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস ৷ যা প্রতিদিন খেলে স্বাস্থ্যের উপকার পাওয়া যায় । এটি একটি ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয় যাতে ব্যাকটেরিয়া যেমন- ল্যাকটোব্যাসিলাস এসপি, ল্যাকটোকোকাস এসপি এবং স্ট্রেপ্টোকক্কাস এসপি থাকে । এই ব্যাকটেরিয়া দুধের ল্যাকটোজকে ল্যাকটিক অ্যাসিডে রূপান্তর করে যা দইয়ের স্বাদ টক হয় ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দই অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটার গঠনকে সংশোধন করতে পারে । দই ওজন বৃদ্ধি এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের ঝুঁকি কমাতে পারে । এছাড়াও একটি সমীক্ষায় আরও জানা গিয়েছে, দই বিলোফিলা ওয়াডসওয়ার্থিয়া নামক খারাপ ব্যাকটেরিয়া কমায় ৷ যা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম সৃষ্টি করে শরীরের কার্যকরী ফ্যাটি অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয় । জেনে নিন, প্রতিদিন দই খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে ৷
হজম উন্নতি: আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় দই অন্তর্ভুক্ত করার প্রথম প্রধান কারণ হজমশক্তির উন্নতিতে এর ভূমিকা । প্রোবায়োটিক খাদ্য হিসাবে দইতে জীবন্ত অণুজীব রয়েছে ৷ যা পাকস্থলীর অ্যাসিডের মাত্রা ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে ৷ এটি বদহজমের জন্য কার্যকর ।
হাড়ের জন্য উপকারী: হাড়ের স্বাস্থ্যেও দই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এটি ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ ৷ যা শক্তিশালী হাড়ের জন্য অপরিহার্য উপাদান । নিয়মিত দই খাওয়ার ফলে হাড় ভেঙে যাওয়া এবং আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমে যায় ।
হার্ট সুস্থ রাখে: দই হৃদরোগের জন্যও উপকারী । দই এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে ।
ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী: দইয়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হল ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা । দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে ৷ যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় । এটি শরীরের ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ৷ যার ফলে হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করে ।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে খেতে পারেন এই সমস্ত সবজির রস !
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)