হায়দরাবাদ: বেল পিপার অর্থাৎ ক্যাপসিকাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয় । সারা বছরই বাজারে ক্যাপসিকাম পাওয়া গেলেও সবুজ শাকসবজি শীতকালে বিশেষ করে তাজা থাকে । আপনি প্রায়শই সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম খেয়েছেন ৷ তবে ক্যাপসিকাম হলুদ এবং লাল রঙেরও উপকার ৷ মানুষ এগুলি পাস্তা, পিৎজা, স্যান্ডউইচ ইত্যাদিতে ব্যবহার করে । এতে ভিটামিন সি, কে, এ, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ।
চোখের জন্য উপকারী: ক্যাপসিকামে লুটেইন এবং জেক্সানথিনের মতো ক্যারোটিনয়েড পাওয়া যায় ৷ যা চোখকে সুস্থ রাখতে সহায়ক ৷
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: ক্যাপসিকামে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা শরীরকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে । এছাড়া লাল ক্যাপসিকামে ক্যাপস্যানথিন নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা ত্বককে ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে রক্ষা করে ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক: ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে । যার ফলে আপনি অনেক ধরনের রোগ এড়াতে পারবেন ।
রক্তাল্পতা দূর করে: শরীরে রক্তের অভাবে রক্তশূন্যতা হতে পারে । আপনার ডায়েটে অবশ্যই ক্যাপসিকাম যোগ করুন । এতে উপস্থিত আয়রন রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি দূর করে ।
হার্ট সুস্থ রাখে: ক্যাপসিকাম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লাইকোপিন, ভিটামিন সি এবং এ-এর ভালো উৎস । এই সমস্ত পুষ্টি হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ।
ওজন কমাতে সহায়ক: ক্যাপসিকাম ওজন কমানোর জন্য সেরা বলে বিবেচিত হয় । যাদের ওজন বৃদ্ধির সমস্যা আছে তারা তাদের ডায়েটে ক্যাপসিকাম যোগ করতে পারেন । এটি খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে ৷
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: ক্যাপসিকাম ক্যানসারের মতো মারণ রোগ থেকে রক্ষা করতেও সহায়ক । এতে রয়েছে এপিজেনিন, লুপিওল এবং ক্যাপসিয়েট, ক্যারোটিনয়েড । এগুলি ক্যানসার প্রতিরোধকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)