হায়দরাবাদ: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণে সমৃদ্ধ এলাচ প্রায়শই মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে ব্যবহার করা হয় ৷ তবে এর খোসারও অনেক গুণ রয়েছে যা পাচনতন্ত্র, চোখ এবং মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী ।
এলাচের গুঁড়ো যে কোনও খাবার বা মিষ্টির স্বাদ দ্বিগুণ করে ৷ কিন্তু অনেক সময় না-জানার কারণে কেউ কেউ এলাচের বীজ ব্যবহার করে খোসা ফেলে দেয়। আপনিও যদি এমনটি করেন তাহলে বলে রাখা ভালো এর খোসাও ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ । যেগুলি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
এলাচের খোসার উপকারিতা: এলাচের খোসা শুধু মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেই কাজ করে না বরং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে ৷ এটি আমাদের পুরো শরীরকে ভেতর থেকে ডিটক্সিফাই করে এবং রক্ত পরিশোধনেও সাহায্য করে । এগুলির মধ্যে পাওয়া পাচক এনজাইমগুলি হজমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৷
বমি ভাব কমানো: অনেকেরই খাওয়ার পর বমি ভাবের সমস্যা থাকে ৷ আপনারও যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে এলাচের খোসা থেকে পাউডার তৈরি করে এক চামচ খাবার পর খান ৷ এতে খুব দ্রুত উপশম হবে।
এর জন্য এলাচের খোসা সামান্য পেস্ট করে তাতে হাফ চা চামচ গ্রাউন্ড সুগার ক্যান্ডি মিশিয়ে একটি বাক্সে এই গুঁড়ো করে রাখুন । প্রতিদিন এটি ব্যবহার করলে আপনি চমৎকার ফলাফল পেতে পারেন ।
পাচনতন্ত্র উন্নত করা: পরিপাকতন্ত্রের উন্নতির জন্য এলাচের খোসা সংগ্রহ করুন এবং তারপর একটি প্যানে ধনে বীজ, কালো এলাচ, সেলারি এবং হিং হালকাভাবে ভেজে নিন এবং কিছুটা ঠান্ডা হলে মিক্সারে পিষে নিন । তারপর তাতে বিটনুন মিশিয়ে একটি বাক্সে রাখুন । প্রতিদিন খাবারের পর এক চামচ এটি খেলে অলৌকিক উপকার পাওয়া যাবে ।
মুড ফ্রেশনার: ছোট এলাচের সঙ্গে এর খোসা আমরা অনেকক্ষণ মুখে নিয়ে চিবিয়ে রাখি ৷ এর ফলে এর সুগন্ধ মনকে সতেজ রাখে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে ।
অম্লতা কমাতে সাহায্য করে: ছোট এলাচের শীতল প্রভাব রয়েছে ৷ তাই এর খোসা অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে সহায়ক ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)