হায়দরাবাদ: প্রত্যেক গৃহস্থালির মশলার কোটোতে আবশ্যিক একটি মশলার অন্যতম জিরে ৷ জিরের অনেক উপকারি গুণ রয়েছে । এটি কেবল স্বাদই নয় খাবারে সুবাস আনে । এছাড়াও এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে । বিশেষজ্ঞরা বলেন, জিরে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে এর অনেক উপকারিতা রয়েছে । জেনে নিন, এর উপকারি দিক গুলি কী কী ?
স্বাস্থ্যের উপকারে জিরের ভূমিকা: জিরে শুধু রান্নাই নয়, সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও অন্যতম ভূমিকা পালন করে। জিরে আয়রন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ। জিরে লিভারে পিত্তের উৎপাদন বাড়ায়। জিরে পেট ব্যাথা, ডায়েরিয়া এবং মর্নিং সিকনেস থেকে রক্ষা করে । যারা অনিয়মিত ঋতুচক্রের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য জিরে ঔষধির কাজ করে । এগুলি ছাড়াও জিরে অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি দেয় ।
1) রক্তাল্পতা নিরাময়: রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হল আয়রন । জিরেতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে । যা শরীরে রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে । শিশু ও মহিলাদের মধ্যে অ্যানিমিয়া বেশি দেখা দিলে খাবারে ঘন ঘন জিরে গ্রহণ করা উপকারী ।
2) ডায়াবেটিস প্রতিরোধ: ডায়াবেটিস কমাতে জিরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । প্রতিদিনের খাবারে জিরে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে । এটি গ্যাস্ট্রিক রোগ প্রতিরোধ করতে পারে ।
3) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: জিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । জিরেতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট । জিরে শরীর থেকে অমেধ্য অপসারণ করে, প্রাক- ব়্যাডিকাল প্রতিরোধ করে । এইভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোগাতে জিরে বিশেষ ভূমিকা পালন করে । আপনি যদি প্রতিদিন জিরের সঙ্গে গরম জল পান করেন তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে ।
4) ঠান্ডা থেকে উপশম: এর অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্যের কারণে জিরে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে যা সর্দি এবং ফ্লু সৃষ্টি করে । এক কাপ ফোটানো জলে জিরে, আদা ও মধু মিশিয়ে পান করলে ঠান্ডা থেকে উপশম হয় ।
5) ব্রণ কমাতে কার্যকরী: জিরেতে রয়েছে ফাইবার, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, ল্যাক্সেটিভ, কার্মিনেটিভ প্রপার্টি । এগুলি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে ।
আরও পড়ুন: এই খাবারগুলি স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)