হায়দরাবাদ: অফিসে, বাড়ি, পার্টিতে বা রেস্টুরেন্টে জাঙ্ক ফুড আমাদের প্রতিদিনির জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে ৷ জাঙ্ক ফুডের কারণে শুধু শারীরিক অসুস্থতা যে বাড়ছে তা নয়, জাঙ্কফুডের কারণে ব্যাঘাত হচ্ছে ভালো ঘুমেরও ৷ উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, জাঙ্ক ফুড, দৈনন্দিন জীবনে অপর্যাপ্ত ঘুমের অন্যতম কারণ ৷
সম্প্রতি জার্নাল ওবেসিটি-তে এই তথ্য সামনে এসেছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, যারা অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন তাঁদের ঘুম কম হয় তুলনায় যাঁরা স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন ৷ বার্গার, কেকস, পিৎজা, রঙিন পানীয় ইত্যাদি খাওয়ার পরিমাণ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে ৷ যার ফলে অনিদ্রা, রাতে কম ঘুম হওয়া বা ঘুম না আসা অন্যতম সমস্যা হয়ে উঠেছে, জানিয়েছেন জোনাথন সেডারনেস, উপসালা ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সেল বায়োলজির চিকিত্সক এবং সহযোগী অধ্যাপক।
তিনি বলেন, "উদাহরণস্বরূপ স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করলে ভালো ঘুম হয়, সমীক্ষার মাধ্যমে সকলেই সেটা জানেন ৷ কিন্তু এমন কোনও সমীক্ষা হয়নি, যেখানে দেখানো হয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কীরকম ক্ষতি হয়, বিশেষ করে ঘুমের ব্যাঘাত কেমন হয় ৷ আসলে আমাদের ঘুমের বিভিন্ন স্তর হয় ৷ তার প্রক্রিয়াও হয়ে থাকে ভিন্ন ৷ উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, হরমোন পরিবর্তনের সঙ্গে গভীর ঘুমের সংযোগ রয়েছে ৷ আবার প্রতিটি ঘুমের স্তরের সঙ্গে যোগ রয়েছে মস্তিষ্কের ৷ আর এই সকল কাজেই ব্যাঘাত হয়, যখন শরীর স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করে না ৷"
তিনি জানিয়েছেন, মোট 15 জন সুস্থ স্বাভাবিক ওজনের যুবকরা দুটি সেশনে অংশগ্রহণ করেছিল। অংশগ্রহণকারীদের প্রথমে তাঁদের ঘুমের অভ্যাসের নানা দিক দেখে নেওয়া হয় ৷ তাঁদের মধ্যে কিছুজন রাতে স্বাভাবিক 8-9 ঘণ্টা ঘুমোতেন ৷ আর কিছু জন রাতে অনেক কম ঘুমাতেন ৷ অংশগ্রহণকারীদের একটি অংশকে স্বাস্থ্যকর খাবার ও অপর একটি অংশকে অস্বাস্থ্যকর খাবার অর্থাৎ জাঙ্ক ফুড দেওয়া হয়েছিল ৷
আরও পড়ুন: শিশুদের মানসিক চাপ কমাতে জাঙ্কফুড থেকে দূরে রাখা জরুরি
তিনি আরও বলেন, "প্রতিটি ডায়েটের পরে, অংশগ্রহণকারীদের একটি ঘুমের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানে তাদের ঘুমের নিরীক্ষণের জন্য মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিমাপ করা হয়েছিল। আমরা দেখেছি যে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ঘুমের তারতম্য রয়েছে ৷ যাঁরা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছিলেন তাঁদের অগভীর ঘুম হয়েছে তুলনায় যাঁরা স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছিলেন ৷
(প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের উপর নির্ভর করে লেখা ৷ বিশদে জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ৷)