হায়দরাবাদ: আয়োডিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির মধ্যে একটি । শরীরে এর ঘাটতি অনেক মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ায় । আয়োডিনের অভাবের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়তে পারে । এটি থাইরয়েড হরমোনের জন্যও দায়ী । এছাড়াও আয়োডিন শিশুদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও আয়োডিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ । গর্ভাবস্থায় আয়োডিনের ঘাটতি শুধু মা নয়, সন্তানের মানসিক বিকাশকেও প্রভাবিত করে । এর জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় আয়োডিন সমৃদ্ধ লবণ রাখুন ৷ এর বাইরে কিছু খাবারের মাধ্যমেও আয়োডিনের ঘাটতি মেটাতে পারেন । জেনে নিন, কোন খাবারগুলি আয়োডিনের প্রধান উৎস ।
দুগ্ধজাত পণ্য: দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন থাকে । এর জন্য পনির একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে । আপনি পনির ব্যবহার করে অনেক ধরনের খাবার তৈরি করতে পারেন । চাইলে কাঁচাও খেতে পারেন ।
ডিম: আয়োডিন শিশুদের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এ জন্য তাদের ডিম খাওয়াতে পারেন । ডিমের কুসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন থাকে । এটি আয়োডিনের একটি স্বাস্থ্যকর উৎস হতে পারে ।
সামুদ্রিক খাবার: সামুদ্রিক খাবার অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস । এতে ক্যালোরিও কম থাকে । আপনি যদি আয়োডিনের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে চান তবে আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় সামুদ্রিক খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । এজন্য আয়োডিন সমৃদ্ধ চিংড়ি খেতে পারেন ।
মাছ: আয়োডিনের প্রধান উৎসও মাছ । এর জন্য আপনি টুনা মাছকে আপনার ডায়েটের অংশ করতে পারেন । এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে । এটি পটাসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন বি এর সমৃদ্ধ উৎস । টুনা ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডেরও ভালো উৎস । যা আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে ।
দই: দইয়ে আয়োডিনও থাকে। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় । দই খেলে হজমশক্তিও ভালো থাকে ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)