হায়দরাবাদ: প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা হয়ে আসছে । শারীরিক সমস্যা হোক বা ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা, আয়ুর্বেদে প্রায় প্রতিটি সমস্যারই নিরাময় রয়েছে । এমন পরিস্থিতিতে, দুশ্চিন্তা বর্তমান জীবনে একটি সাধারণ সমস্যা । এটি এড়াতে আয়ুর্বেদে অনেক ধরনের ভেষজ এবং প্রাকৃতিক পানীয় রয়েছে, যার সাহায্যে এটি কাটিয়ে ওঠা যায় ।
আমলা, ভৃঙ্গরাজ, মেথি, হিবিস্কাস, নারকেল জল, নিম, ধনে বীজ, ব্রাহ্মী, ত্রিফলা এবং অশ্বগন্ধা-সহ আরও অনেক ভেষজ রয়েছে যা প্রাকৃতিক প্রতিকারে উপকারী । এগুলি খাওয়া শুধু স্ট্রেস লেভেল কমায় না চুলের বৃদ্ধিও ঘটায় । জেনে নিন, এমন কিছু ভেষজ পানীয় সম্পর্কে, যা আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে।
1) আমলা জুস: আমলা চুল মজবুত করার গুণে পরিপূর্ণ । ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলার রস চুলের ফলিকলকে পুষ্টি জোগায় ৷ তাদের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং চুল সাদা হওয়া প্রতিরোধ করে । নিয়মিত আমলকির রস খেলে মাথার ত্বকের ফোলাভাবও দূর হয় ।
2) ভৃঙ্গরাজ চা: ভৃঙ্গরাজ বহু শতাব্দী ধরে আয়ুর্বেদিক চুলের যত্নের ভিত্তি । চায়ে ভৃঙ্গরাজ পাতা মিশিয়ে পান করলে এর পুষ্টি উপাদান থাকে যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় । এই ভেষজ পানীয় চুল পাতলা হওয়া রোধ করার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ চুলে পুষ্টি জোগায় ।
3) মেথি জল: মেথি বীজ প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ, যা চুলের গোড়া মজবুত করে এবং ভাঙা প্রতিরোধ করে । মেথি দানা সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং সেই জল খালি পেটে খান । এর নিয়মিত সেবন শুধু চুল পড়া বন্ধ করে না বরং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতাও বাড়ায় ।
4) হিবিস্কাস: হিবিস্কাস ফুল ভিটামিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের একটি সমৃদ্ধ উত্স ৷ যা চুলের ফলিকলগুলিকে পুষ্ট করে । এটি শক্তিশালী চুল বৃদ্ধি প্রচার করে । চায়ে হিবিস্কাস পাপড়ি যোগ করলে তা পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করে । এছাড়া চুল পড়া থেকে শুরু করে খুশকি রোধে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দিতে এটি খুবই সহায়ক ৷
5) নারকেল জল: নারকেল জল তার হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত ৷ যা চুলের স্বাস্থ্যেও সাহায্য করে । পটাসিয়াম এবং ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ ৷ এটি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় । নিয়মিত নারকেল জল খেলে চুলের সুস্থ ভালো থাকে । নারকেলের জলে চুল পড়াও কমে ।
6) নিম জল: নিম তার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত । এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে, যা চুলের ক্ষতি হতে পারে । নিম পাতা সিদ্ধ করে নিমের জলের দ্রবণ তৈরি করে পান করুন । এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং চুলের বৃদ্ধিকেও উৎসাহিত করে ।
আরও পড়ুন: ভিটামিন-কে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী ! জানেন কী কী খাবেন ?
(প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের উপর নির্ভর করে লেখা ৷ বিশদে জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ৷)