হায়দরাবাদ: পরিবর্তনশীল ঋতুতে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি । রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তারা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন । ঠান্ডা, পেটব্যথা, অলসতা ইত্যাদির মতো সমস্যা সবসময় থাকে এবং সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও থাকে । এমন পরিস্থিতিতে রোগ থেকে বাঁচতে ইমিউন সিস্টেমের যত্ন নেওয়া জরুরি । আপনার ডায়েটে কিছু জিনিস অন্তর্ভুক্ত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারেন । জেনে নিন, কোন খাবারগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।
আমলা: আমলা সুপারফুড হিসেবে পরিচিত । এটিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এটি ভিটামিন সি এর একটি সমৃদ্ধ উৎস ৷ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে ৷ তাই আপনি মরশুমি রোগগুলি এড়াতে পারেন । খাবারে আমলা ব্যবহার করতে পারেন নানাভাবে । এটি জুস, জ্যাম, চাটনি ইত্যাদি আকারে খাওয়া যায় ।
মশলা: রান্নাঘরে রাখা মশলা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না অনেক রোগ থেকেও রক্ষা করে । এগুলিতে অ্যান্টি-সেপটিক, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় । যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় । প্রতিদিন আপনার খাবারে হলুদ, জিরে, ধনে, গোলমরিচ ইত্যাদি মশলা অবশ্যই ব্যবহার করবেন । এই মশলাগুলি খেলে আপনি অনেক ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পাবেন ।
লেবু: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণে সমৃদ্ধ লেবু শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় ৷ ফলে অনেক রোগ এড়াতে সাহায্য করে । ডাল, শাকসবজি এবং স্যালাডে লেবুর রস মিশিয়ে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে ৷ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে কার্যকর ।
বাদাম: বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । আপনি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাদাম, কাজু, পেস্তা, আখরোট খেতে পারেন । আপনি এগুলি স্ন্যাকস হিসাবে খেতে পারেন বা স্মুদিতে যোগ করতে পারেন ।
সবুজ চা: গ্রিন টিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য । যা আপনাকে অনেক সুবিধা দেয় । গ্রিন টি জল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এতে রয়েছে এপিগালোকাটেচিন গ্যালেট, যা রোগ-হ্রাসকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত ।
বাটারমিল্ক: পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বাটার মিল্ক পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় । যার কারণে ভাইরাল সংক্রমণ এড়ানো যায় । এ ছাড়া বাটার মিল্ক হজমশক্তি ভালো রাখে । বাটারমিল্ককে সুস্বাদু করতে, আপনি এতে গোলমরিচ, বিট নুন বা অন্যান্য মশলাও মেশাতে পারেন ।
আরও পড়ুন: ওজন কমানো থেকে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য, গাজর খাওয়ার আশ্চর্য উপকারিতা!
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)